বুধবার ৭৫ জন মানুষের সই করা সেই চিঠি ইমেল করা হয়েছে। সেই ৭৫ জনের মধ্যে চলচ্চিত্র, চিকিৎসা, শিক্ষা, আইন ক্ষেত্রের বিশিষ্টজনরা রয়েছেন। চিঠিতে জয়নগরে শিশু খুনের ঘটনা, পার্ক স্ট্রিট থানায় মহিলাকে নিগ্রহের ঘটনার মতো বেশ কিছু ঘটনারও উল্লেখ করা হয়েছে। চিঠিতে লেখা হয়েছে, ”আরজি করের ঘটনার পরেও নানা জায়গায় রাজ্যের একাধিক জায়গায় যৌন নিগ্রহ, হেনস্থার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এলাকার পুলিশ-প্রশাসনের খামতি, কোথাও কোথাও পুলিশই নিগ্রহে অভিযুক্ত হওয়ায় সার্বিক ভাবে নিরাপত্তাহীনতার বোধ তৈরি হয়েছে। সেই কারণে জুনিয়র ডাক্তারেরা বাধ্য হয়েই আমরণ অনশন শুরু করেছেন।” জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে ফের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যচিবকে বৈঠকে বসার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘কোনও গণইস্তফার চিঠি পাইনি’, জানালেন মুখ্যসচিব! ৩ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষদের বড় নির্দেশ
গত শনিবার থেকে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট’-এর সাত জন প্রতিনিধি ১০ দফা দাবিতে আমরণ অনশন করছেন ধর্মতলায়। প্রথমে ছ’জন অনশনে বসেছিলেন। পরে আরজি করের জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতোও যোগ দেন আমরণ অনশন কর্মসূচিতে। তাঁদের সমর্থন জানিয়েছেন সিনিয়র ডাক্তাররাও।
সিনিয়রদের পরামর্শেই কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে আন্দোলন অন্য পথে নিয়ে যান জুনিয়ররা। আমরণ অনশনের পথে যান তাঁরা। ধর্মতলায় অনশনকারীদের পাশেও প্রতীকী অনশনে বসতে দেখা গিয়েছে সিনিয়র ডাক্তারদের। এবার নাগরিক সমাজের একাংশও তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানালেন।