শুধু নাগরিক স্বাচ্ছন্দ্যের ক্ষেত্রে নয়, সংস্কৃতিক মননের অবাধ ডানা বিস্তারেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এই পুর প্রশাসন, সেই অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন রানাঘাট থেকে কলকাতায় আসা জয় গোস্বামী৷ তার লেখায় এক দিকে বামেদের সমালোচনা করেছেন তিনি, অন্য দিকে প্রশংসা করেছেন প্রাক্তন দুই মেয়র প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিমের। তবে একেবারের জন্যেও দেখা যায়নি প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের নাম। সত্যজিৎ রায় শতবর্ষে স্মারক গ্রন্থ প্রকাশকে কেন্দ্র করে ফিরহাদের ভূমিকার উদাহরণ দিয়েছেন তিনি। জয় গোস্বামী লিখেছেন, ‘বইটি মুদ্রণের সময় কিছু সমস্যা দেখা দেয়। মহানাগরিকের ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় তা কেটেও যায়।’
advertisement
আরও পড়ুন:'কলকাতার ১০ দিগন্ত'-তে তৃণমূল, তিলোত্তমার ভোল পাল্টে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি
অগ্রিম ঘোষণা না হলেও, কলকাতা পুরভোটে তৃণমূলের মেয়র পদপ্রার্থী ফিরহাদ হাকিম। তাই দলীয় মুখপত্রে কবির এই প্রশংসা ভীষণরকম ‘তাৎপর্যপূর্ণ’। ফিরহাদ হাকিমের পাশাপাশি জয় গোস্বামী মহানাগরিক হিসাবে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেছেন। এ ক্ষেত্রেও উদাহরণ দিয়ে প্রয়াত প্রাক্তন মেয়র সম্পর্কে লিখেছেন, 'সুব্রত মুখোপাধ্যায় এই মহানগরীর ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগের যত খোঁজখবর রাখতেন, ভূগর্ভস্থ কলকাতার হালহকিকত সম্পর্কে ততটাই ওয়াকিবহাল ছিলেন।' লেখা জুড়ে গত দশ বছরে পুরসভার বিভিন্ন কাজের প্রশংসা করেন তিনি। এই সব কাজের পিছনে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব রয়েছে, তাও তিনি উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন:লক্ষ্য শিল্প স্থাপন, বাংলার জেলায় জেলায় বড় পদক্ষেপ রাজ্যের!
লেখায় বাম-জমানার তীব্র সমালোচনা করেছেন তিনি। জয় গোস্বামী লিখেছেন, ‘সমাজের সর্বস্তরে নিজেদের ক্ষমতা কায়েম করার নেশায় বুঁদ হয়ে দম্ভ আর আত্মতুষ্টির ফাঁদে পড়ে স্তাবকদের আনুগত্যকে স্থিক ভেবে নিয়ে ভুয়ো ভালোতে গা ভাসিয়েছিলেন। আর সত্যিকারের বন্ধু যারা চোখে আঙ্গুল দিয়ে ভুল দেখিয়েছিল, তাদের ষড়যন্ত্রকারী ভেবে ঐতিহাসিক ভুল করেছিলেন। তাতে যা হওয়ার তাই হয়েছিল। জনগণ তাঁদের প্রত্যাখ্যান করেছেন।’ তাঁর মতে তৃণমূলের পুর প্রশাসনের ক্ষেত্রে বিষয়টা ভিন্ন। তিনি লিখেছেন, "কেউ আত্মতুষ্টিতে গা ভাসাননি। সেটাই আশার কথা!"
Abir Ghoshal