গোটা অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরেই হাওড়া স্টেশন থেকে সরাসরি জোকা মেট্রো স্টেশনে এসে উপস্থিত হন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। জোকা মেট্রো স্টেশনে এসে প্রকল্প র স্মারক উদ্বোধন ছাড়াও জি-টোয়েন্টি স্মারকযুক্ত মেট্রোর নয়া স্মার্ট কার্ড প্রকাশ করেন। আগামী দু তারিখ থেকে যাত্রী পরিষেবা দেওয়া শুরু করবে কলকাতা মেট্রোর এই নয়া সংযোজন। এখনও পর্যন্ত সিগনালিং ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে কার্যকরী না হওয়ার কারণে একটিমাত্র রেক ব্যবহার করে যাত্রী পরিষেবা দেওয়া হবে। যদিও এভাবে চলার ক্ষেত্রে দুটি মেট্রোর মধ্যে সময়ের ব্যবধান অনেকটাই হতে চলেছে।
advertisement
স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে পুরোপুরিভাবে কবে থেকে সম্পূর্ণভাবে মেট্রো পরিষেবা চালু হবে এই লাইনে? কিংবা বাকি মেট্রো স্টেশনগুলির নির্মাণকার্য সম্পূর্ণ হতেও বা কতদিন সময় লাগবে? এর উত্তর দিলেন স্বয়ং রেলমন্ত্রী।
প্রায় সাড়ে ছয় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই লাইন চালু হলেও আগামী ১২ থেকে ১৫ মাসের মধ্যেই আরও প্রায় ১২ কিলোমিটার লাইন চালু করার কথা রয়েছে। এখনও পর্যন্ত থাকা পরিকল্পনা অনুযায়ী তারাতলার পরবর্তী স্টেশন গুলি হতে চলেছে মাঝেরহাট,মোমিনপুর, খিদিরপুর ভিক্টোরিয়া পার্কস্ট্রিট এবং এসপ্ল্যানেড।
আরও পড়ুন: প্রয়াত হলেন প্রধানমন্ত্রীর মা হীরাবেন মোদি, শোক প্রকাশ ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর
রেলমন্ত্রীর দাবি, "আগামী ১২-১৫ মাসের মধ্যে এই রুটের আরও ১২ কিলোমিটার মেট্রো লাইনের কাজ করা হবে। এই কাজের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ১০,২৬২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। ২০১৪ সাল পর্যন্ত এই প্রকল্পে ফি বছর মাত্র ২ হাজার কোটি টাকা করে বরাদ্দ করা হতো। তাই কাজ প্রায় কিছুই এগোয় নি। এখন তার থেকে কয়েক গুণ বেশি বরাদ্দ করা হচ্ছে।" তবে মেট্রোর এই নয়া উপহারে খুশি আপামর বেহালাবাসী। যাতায়াতের নয়া মাধ্যম দৈনন্দিন যাত্রায় অনেকটাই সুরাহা করবে বলেই মনে করছেন তারা।