এখানেই শেষ নয় কলকাতা পুলিশ মনে করছে এই তিনজন ছাড়া আরো বেশ কয়েকটি মাথা জড়িয়ে আছে এই চক্রের সঙ্গে। কারা এদেরকে বাড়িভাড়া পেতে, টাকা তুলতে সাহায্য করেছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই তিন জঙ্গির কাছে আল-আমিন নামক এক বড় মাপের জেএমবি নেতার ফোন নম্বর পাওয়া গিয়েছে। দাগী অপরাধী আল আমিন এই মুহূর্তে বাংলাদেশের জেলে বন্দি। এই যোগাযোগ সম্পর্কে তথ্য চাইতে বাংলাদেশ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে কলকাতা পুলিশ।
advertisement
খাগড়াগড়ের স্মৃতি রাজ্যবাসীর মনে এখনও দগদগে। সেই ঘটনায় জড়িত জেএমবি গোষ্ঠীর সদস্য তিন জঙ্গি শহর কলকাতায় নাশকতার কোনও বড় ছক করছিল কিনা সে ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত নয় কলকাতা পুলিশ। তবে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ভুঁয়ো নথি বলছে, কলকাতায় পাকাপাকিভাবে থাকার মতলবেই এসেছিল তারা।
ধৃত ৩ জঙ্গির মধ্যে নাজিউর দাগী অপরাধী বললেই চলে। ইতিমধ্যই নাজিউর বাংলাদেশে জেল খেটে এসেছে। মনে করা হচ্ছে জেলেই আল আমিনের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল তার। জয়রাম ব্যাপারী নাম জোকার কাছে সে-ই বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল। তথ্য বলছে এই নাজিউরের আরেক নাম জোসেফ। সেই ছিল দলের মাথা।
ইতিমধ্যেই এই জঙ্গির কাছ থেকে বেশ কিছু জেহাদি লেখাপত্র পাওয়া গিয়েছে। একটি মোবাইল উদ্ধার করা গিয়েছে যেখানে বেশ কয়েক জন জামাত নেতার নম্বর পাওয়া গিয়েছে সেই মোবাইলে। এই টিমের একজন সাব্বির ফেসবুকে লাগাতার জেহাদি প্রচার চালাতে বলে জানা গিয়েছে।
আজ রবিবার দুপুর দুটো নাগাদ সূত্র মারফত খবর পেয়ে আলিপুর এমজি রোডে অভিযান চালায় লালবাজারের এসটিএফ টিম তিন ব্যক্তির। ধৃতদের নাম নাজিউর রহমান ওরফে জয়রাম, সাব্বির ওরফে নিখিল কান্ত এবং রবিউল ইসলাম (২২)। তারা বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের বাসিন্দা।
-ইনপুট সুকান্ত মজুমদার