সম্প্রতি জানা গিয়েছে, বোলপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র জামবুনি বাসস্ট্যান্ডের কাছে অবকাশ আবাসনের তৃতীয় তলায় একটি থ্রি-বিএইচকে ফ্ল্যাট রয়েছে জীবনকৃষ্ণ সাহার। পাশাপাশি, ওই ফ্ল্যাটের সংলগ্ন পাঁচ কাঠা জমিও তাঁর মালিকানাধীন বলে জানা গেছে।
২০১৬ সালে তিনি ফ্ল্যাটটি কেনেন এবং তখন থেকেই মাঝেমধ্যেই সেখানে যান। একই বছরে জমিটিও কেনা হয়। বর্তমানে ওই এলাকার বাজারদর অনুযায়ী জমির মূল্য প্রতি কাঠা প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা। তবে ক্রয়ের সময়ে জমিটির দাম ছিল প্রতি কাঠা ১২ থেকে ১৫ লক্ষ টাকার মধ্যে। সূত্র অনুযায়ী, জমিটি জীবনকৃষ্ণ সাহার স্ত্রী টগরি সাহার নামে নিবন্ধিত।
advertisement
প্রসঙ্গত,জানা যায় যে ওই জায়গা বা ওই ফ্ল্যাটটি যখন বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই তখন ওই ফ্ল্যাটে তল্লাশি করতেও এসেছিল সিবিআই এবং জায়গা সম্বন্ধেও খোঁজ নেয়৷
ইডি সূত্রের দাবি, জীবনের এজেন্টদের তালিকার সঙ্গে প্রায় ৩৮০০ চাকরিপ্রার্থীর নামের তালিকা মিলেছে৷ জীবনকৃষ্ণ সাহার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ দুই এজেন্ট কৌশিক ঘোষ ও সুব্রত সামন্ত রায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরিকল্পনা করেছে ইডি৷ জীবন হেফাজতে থাকাকালীনই তার ঘনিষ্ঠ এজেন্টদের ডেকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে ইডি৷
একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষকতার চাকরির জন্য এক রেট, নবম-দশমের জন্য টাকার অঙ্ক কিছুটা কম৷ আবার স্কুলে গ্রুপ সি, গ্রুপ ডির চাকরির জন্য রেট আলাদা৷ চাকরি দেওয়ার বিনিময়ে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃ্ষ্ণ সাহা টাকা তোলার ক্ষেত্রে আলাদ আলাদা রেট বেঁধে দিয়েছিলেন বলেই দাবি ইডি কর্তাদের৷
ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের বাজেয়াপ্ত করা নথির ফটোকপি হাতে পেয়েছে ইডি৷ সেখানে পাওয়ার গিয়েছে এসএসসির রেট চার্ট৷ নবম ও দশম শ্রেণির নিয়োগ দুর্নীতি নয়, একাদশ -দ্বাদশ ও গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি- এর দুর্নীতির সঙ্গেও জীবনের যোগ পাওয়া গিয়েছে৷ গ্রুপ সি ও ডি এর ক্ষেত্রে জীবনকে দিতে হত যথাক্রমে ১০ লক্ষ ও ৮ লক্ষ টাকা৷