এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই জহর তৃণমূল নেতৃত্বের রোষে পড়েছেন বলে জল্পনা ছড়ায়৷ কারণ কয়েকদিন আগেই দলের নেতাদের একাংশের দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ জহর৷ এর পরেই তাঁর বিরুদ্ধে দলের অন্দরে ক্ষোভ তৈরি হয়৷ দল যে তাঁর মন্তব্য ভাল ভাবে নেয়নি, তা জানিয়ে সাংসদকে চিঠি দিয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার মুখ্যসচেতক সুখেন্দুশেখর রায়৷
advertisement
তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদদের নিয়ে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছিল৷ সাংসদ হওয়ায় সেই গ্রুপের সদস্য ছিলেন জহর সরকারও৷ ওই গ্রুপের নাম ছিল এআইটিসি আরএস এমপি৷ কিন্তু সাম্প্রতিক বিতর্কের পরই আজ সকালে ওই গ্রুপ থেকে জহর সরকারকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়৷
আরও পড়ুন: 'গুরুত্বহীন মন্তব্য, কড়া ব্যবস্থা নেবে দিল্লি নেতৃত্ব', অনুপমকে একহাত নিলেন সুকান্ত
জহর সরকার দুর্নীতি নিয়ে সরব হওার কারণেই তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বাদ পড়তে হয়েছে বলে জল্পনা ছড়ায়৷ এর কিছুক্ষণের মধ্যেই তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদদের নিয়ে ফের নতুন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি হয়৷ নতুন গ্রুপের নাম দেওয়া হয়েছে এআইটিসি এমপি রাজ্যসভা৷ গ্রুপ তৈরির পর তাতে যোগ করানো হয় জহর সরকারের মোবাইল নম্বরও৷
কয়েকদিন আগেই সংবাদমাধ্যমে জহর বলেছিলেন, 'এক পাশ পচা শরীর নিয়ে ২০২৪-এ বিজেপি-র মোকাবিলা করা কঠিন হবে তৃণমূলের পক্ষে৷' প্রসার ভারতীর প্রাক্তন সিইও-র নিশানায় ছিলেন দুর্নীতিতে অভিযুক্ত দলের নেতারা৷ এর পরেই জহর সরকারকে সাংসদ পদ ছেড়ে দেওয়ার 'পরামর্শ' দিয়েছিলেন সৌগত রায়, তাপস রায়ের মতো তৃণমূল নেতারা৷ জহর সরকার অবশ্য জানিয়েছিলেন, তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইলে তিনি সাংসদ পদে ইস্তফা দিতে তৈরি৷