এদিন নতুন কয়লাঘাট রেলভবন পরিদর্শনের পর ধনখড় বলছেন, "দমকল কর্মীদের সাহস ও প্রচেষ্টার কোনও অভাব ছিল না৷ কিন্তু সরঞ্জাম তাঁদের সঙ্গ দেয়নি৷ শহরের অগ্নি ও পৌর পরিষেবায় পরিবর্তন আনা প্রয়োজন৷ আমাদের দমকল পরিষেবার প্রযুক্তিগত ভাবে আরও বেশি করে আধুনিকীকরণের প্রয়োজন আছে৷"
গতকাল সন্ধ্যা ৬.১০ মিনিট নাগাদ আগুন লাগে পূর্ব রেলের এই অফিসে। তারপর থেকে টানা দশ ঘণ্টার লড়াইয়ের পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। যদিও ভোর চারটে নাগাদ ফের ওই বিল্ডিংয়ের তেরো তলায় আগুন দেখতে পাওয়া যায়। তারপর ঘণ্টা দুয়েকের চেষ্টায় তা নিয়ন্ত্রণে আসে। মর্মান্তিক এই ঘটনায় দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। ওই বিল্ডিংয়ের একটি লিফটের মধ্যে পূর্ব রেলের ডেপুটি চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার (সিসিএম) পার্থসারথি মণ্ডল এবং তাঁর রক্ষী সঞ্জয় সাহানির দেহ মিলেছে। অন্য লিফটে মিলেছে ৪ দমকলকর্মী-সহ ৭ জনের দেহ। যে দমকলকর্মীরা প্রাণ হারালেন তাঁরা হলেন, গিরিশ দে, গৌরব বেজ, অনিরুদ্ধ জানা, বিমান পুরকায়েত, মৃত্যু হয়েছে হেয়ার স্ট্রিট থানার এএসআই অমিত ভাওয়ালেরও।
গতকাল ঘটনাস্থলে গিয়ে রেলের বিরুদ্ধে কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়৷ তাঁর অভিযোগ ছিল যে, রেলের এলাকায় একজনও রেলের কাউকে পাওয়া যায়নি বিপদের সময়৷ দমকলের পক্ষ থেকে বাড়ির একটা নকশা চাওয়া হয়েছিল রেলের কাছে। সেটাও দেওয়া হয়নি বলেই জানান মমতা৷ এদিন ধনঘড়ের মন্তব্য বুঝিয়ে দিল যে, তাঁর অভিযোগের নিশানায় রয়েছেন কে!