‘আলু’ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির অন্যতম পরিচিত নাম। প্রভাবশালী এক নেতৃত্বও বটে৷ এক সময়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির স্টুডেন্টস ইউনিয়নের সদস্য কার্যত রাজ করতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলে৷ তার দাপটে ত্রস্ত থাকত হস্টেল৷ এবার ছাত্রনেতা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র সংসদ ফেটসুর দীর্ঘদিনের চেয়ারম্যান অরিত্র মজুমদার ওরফে আলু এবং কলা শাখার ছাত্র সংসদ আফসুর সক্রিয় সদস্য রুদ্র চট্টোপাধ্যায়কে যথাক্রমে ছ’মাস ও একমাসের জন্য সাসপেন্ডের সুপারিশ করেছে কমিটি। ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় দু’জনকেই পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাল কমিটি (আইসি) অরিত্রকে শুধু গবেষণা শেষের পর ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষেধের বিধান দিয়েছিল। তবে, মঙ্গলবার অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি অবশ্য নিল অন্য পদক্ষেপ।
advertisement
অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির বক্তব্য, অরিত্র ৯ অগস্টের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। গবেষকদের উপস্থিতির খাতায় অরিত্রর সই থাকলেও তিনি ঘটনার সময়ে অন্য রাজ্যে ছুটিতে ছিলেন। সে জন্য তাঁর বিরুদ্ধে পৃথক তদন্তেরও সুপারিশ করেছিল আইসি। রুদ্রর বিরুদ্ধে অভিযোগ, স্নাতক প্রথম বর্ষের ওই পড়ুয়াকে ভয় দেখানোর। তাই আইসি এবং স্কোয়াডের রিপোর্টে ফ্রেশার্সদের অনুষ্ঠানে তাঁকে ছ’মাস না থাকার নিদান দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কমিটি তাঁকে একমাস সাসপেন্ডের সুপারিশ করেছে।
শিক্ষামহলের একাংশের দাবি যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযুক্তদের শাস্তি নিয়ে গাফিলতি করছিলেন। আচার্য-রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এ ব্যাপারে তাঁর ক্ষোভ ও বিরক্তি স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন। এই ঘটনায় দোষীদের শাস্তি না হলে, তিনি কোর্ট মিটিংয়ের অনুমতি যে দেবেন না, তা-ও বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। কঠোর শাস্তি না হলে হস্টলে ছাত্রদের রাখতে ভয় পাচ্ছেন অভিভাবকরাও। অবশেষে, কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপ বলেই সকলের মত।