বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির তদন্তের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবার গোটা ঘটনায় একাধিক সদস্য নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করল। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে থানায় অভিযোগও জানানো হয়েছে। মৃত স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর পরিবারের তরফে বিশ্ববিদ্যালয়কে অভিযোগ জানিয়ে একটি চিঠি লেখা হয়েছে।
advertisement
চিঠিতে শেষবার স্বপ্নদীপের সঙ্গে তাঁর পরিবারের কী কথা হয়েছিল জানানো হয়েছে। পরবর্তীতে পড়ে যাওয়া, রাতে ফোন, সকালে রক্তাক্ত দেহ দেখার মতো সমস্ত ঘটনার বিবরণ দেওয়া হয়েছে। স্বপ্নদীপের মামা পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। শেষে লিখেছেন, ‘আরও যেন কোনও মায়ের কোল খালি না হয়’। ফোনে বাবাকে চাপে থাকার কথা জানিয়েছিল যাদবপুরের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডু। গতকাল রাতে ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে ছেলের সঙ্গে শেষ কথা হয় বাবার।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের খবর | Jadavpur University News Today
আরও পড়ুন: ‘চাপে আছি বাবা এসো, মা এসো’! শেষ ফোনে বলেছিল যাদবপুরের স্বপ্নদীপ
স্বপ্নদীপের বাবার দাবি ছেলে বলেছিল, ”চাপে আছি বাবা এসো, মা এসো’! শেষ ফোনে বলেছিল যাদবপুরের স্বপ্নদীপ’। পরদিন যে এমন কাণ্ড ঘটবে তা ভাবতেই পারছে না স্বপ্নদীপের পরিবার। যাদবপুরের কলেজ ছাত্র স্বপ্নদ্বীপ কুন্ডুর মৃত্যুতে শোকাহত এলাকার সকলেও। তাঁর বাড়ি নদিয়ার হাঁসখালি থানা এলাকার বগুলা কলেজ পাড়ায়। বাবা রামপ্রসাদ কুন্ডু কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক গাজনা শাখার কর্মী। মা স্বপ্না কুন্ডু আইসিডিএস কর্মী।
আরও পড়ুন: বেহালায় শিশুমৃত্যু ঘিরে অশান্তিতে ৩৫ জন জড়িত, অথচ দীর্ঘ সময় রাস্তায় পড়েছিল সৌরনীলের দেহ!
দুই ছেলের মধ্যে স্বপ্নদ্বীপ বড় ছেলে, ছোট ছেলে স্কুলে পড়ে। অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন স্বপ্নদ্বীপ। স্বপ্নদ্বীপের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে। সকলেই চাইছেন স্বপ্নদ্বীপের মৃত্যুর কিনারা করে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা হোক। পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার, যাদবপুর থানার পাশে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেলের এ ব্লকের তিনতলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় পড়ুয়ার। গুরুতর জখম অবস্থায় কেপিসি-তে ভর্তি করানো হয় গতকাল রাতেই। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ মৃত্যু হয় স্বপ্নদীপের।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়