যাদবপুরে মেন হস্টেলে পুলিশকে ঢুকতে বাধা দেওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার হয় বর্ধমানের কেতুগ্রামের বাসিন্দা জয়দীপ ঘোষ। পুলিশের তরফে সরকারি আইনজীবী জানান, হস্টেল ও হাসপাতালে যখন পুলিশ যায় তখন জখম পড়ুয়ার বয়ান রেকর্ড করতে দেয়নি পুলিশকে, অভিযুক্ত জয়দীপ।
advertisement
জয়দীপ ও তাঁর সঙ্গীরা পুলিশকে ঢুকতে পর্যন্ত দেয়নি যাদবপুরের বেসরকারি হাসপাতালে। বয়ান নিতে পারলে এই ঘটনায় অন্য দিক খুলে যেত বলে দাবি পুলিশের। কিন্তু অভিযোগ জয়দীপ ও তাঁর দলবল ক্রাইম সিনে ঢুকতেই দেয়নি পুলিশকে। কী ঘটেছিল দেখতে দেয়নি পর্যন্ত।
অন্যদিকে জয়দীপ ঘোষকে জেরা করে উঠে এসেছে নয়া তথ্য। শোভন মণ্ডল নামের সেকেন্ড ইয়ারের পড়ুয়া নাকি ফোন করে ডাকে জয়দীপকে। এরপর পুলিশকে ঢুকতে বাঁধা দেওয়া হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট আটকানো হয়। এই ঘটনায় ১১ জন জড়িত বলে পুলিশের দাবি যাদের এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হননি।
আরও পড়ুন: মা অসুস্থ, বাবা হতবাক! বন্ধুরা কী বলছেন…? যাদবপুর মৃত্যুকাণ্ডে গ্রেফতার বর্ধমানের পড়ুয়া
জয়দীপ পুলিশি জেরায় জানান, ঘটনার রাতে ১১:৪৫- ১১:৫০ এর মধ্যে শোভন মণ্ডল নামের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ফোন করেন তাঁকে। পুলিশ ট্যাক্সি চলে যাওয়ার পরে অ্যাম্বুলেন্স দেখে যখন জানতে আসে তখন অভিযোগ, জয়দীপের নির্দেশে গেটের নিরাপত্তারক্ষীরা গেট আটকে দেয়। ফলে পুলিশ ঘটনাস্থলে ঢুকতে পারেনি। এমনকি যখন পুলিশ খবর পেয়ে ঢিল ছোড়া দূরত্বতে বেসরকারি হাসপাতালে যায়, অভিযোগ তখন জখম প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুকালীন বয়ান নিতে দেয়নি পুলিশকে এই ধৃত জয়দীপ।
আরও পড়ুন: ‘কোনও র্যাগিং হয়নি’… প্রিজন ভ্যান থেকে বিস্ফোরক সৌরভ চৌধুরী! কী কী দাবি তার? শুনুন
অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন এদিন। জানান, এই ঘটনায় অন্য কাউকে গ্রেফতার করল না পুলিশ। শুধু পাস আউট ছাত্র জয়দীপকে গ্রেফতার করা হল। জয়দীপ হস্টেলে থাকত না। পুলিশের কাজে বাঁধা দেয়নি। আলিপুরের বিচারক সরকারি আইনজীবীর বিস্ফোরক অভিযোগ শোনার পরে মন্তব্য, মৃত্যু কালীন জবানবন্দী নিতে দেয়নি অভিযুক্ত। দুপক্ষের সওয়াল জবাব শুনে ২৪ অগাস্ট পর্যন্ত ধৃতকে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
অর্পিতা হাজরা