গত দু' তিন দিন ধরেই ক্রমাগত সিবিআই সম্পর্কে নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করে চলেছেন দিলীপ ঘোষ৷ মূলত ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআই-এর নিষ্ক্রিয়তা নিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন দিলীপ ঘোষ৷ যদিও গতকাল জে পি নাড্ডার এই কড়া বার্তার পরেও দিলীপ ঘোষ কতটা সতর্ক হয়েছেন তা নিয়ে সংশয় থাকছেই৷ কারণ, আজ সকালেও ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে চাঁচাছোলা ভাষায় সিবিআই-এর সমালোচনা করেছেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি৷
advertisement
আরও পড়ুন: 'কার সিবিআই জানি না, পাবলিকের টাকায় চলছে', দল ক্ষুব্ধ হলেও দিলীপ সেই বেপরোয়া
সূত্রের খবর, গতকাল হেস্টিংসের দফতরেই অমিত মালব্যর মাধ্যমে সিবিআই নিয়ে মন্তব্যের জন্য দিলীপ ঘোষের জবাবদিহি চান জে পি নাড্ডা৷ সিবিআই নিয়ে কেন তিনি এই ধরনের মন্তব্য করলেন, সেই প্রশ্ন করা হয় মেদিনীপুরের সাংসদকে৷ কারণ তাঁর এই ধরনের মন্তব্যে যে দল অস্বস্তিতে পড়েছে, তা স্পষ্ট করে দেন নাড্ডা৷
দিলীপ ঘোষ বোঝানোর চেষ্টা করেন, ভোট পরবর্তী মামলায় রাজ্য বিজেপি-র চেষ্টাতেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত৷ কিন্তু তার পরেও গত কয়েক মাসে এই মামলায় কোনও অভিযুক্তেরই শাস্তির ব্যবস্থা করতে পারেনি সিবিআই৷ যা নিয়ে দলের নিচু তলার কর্মী এবং নিহত বিজেপি কর্মীদের পরিবারের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে৷ সেই ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে তাঁর কথায়৷ যদিও দিলীপ ঘোষের এই যুক্তি মানতে চাননি বিজেপি সভাপতি৷ বরং ভবিষ্যতে সিবিআই সম্পর্কে মন্তব্য করার ক্ষেত্রে দিলীপ ঘোষকে আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷
তার পরেও অবশ্য এ দিন সকালে যথারীতি দিলীপ ঘোষ বেপরোয়া ভঙ্গিতেই বলেন, 'সিবিআই কার হাতে আছে দেখার দরকার নেই৷ পাবলিকের টাকায় একটা কেন্দ্রীয় এজেন্সি চলছে, খারাপ লাগলে বলতে পারব না? আমাদের উপরে অত্যাচার হয়ছে৷ ভোটের পরে ৬০ জন কর্মী খুন হয়েছে৷ আমরা তার বিচার চেয়ে আদালতের কাছে গিয়েছিলাম৷
আদালত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল৷ তার পরে কতজন সাজা পেয়েছে, কতজন কর্মীর পরিবারকে আমরা বিচার দিতে পেরেছি? একথা আমি বলতে পারব না? আমি বিচার না পেলে বলতে পারব না?'
আলটপকা মন্তব্যের জন্য এর আগেও দিলীপ ঘোষকে সতর্ক করেছিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব৷ কিন্তু নিজের বেপরোয়া মনোভাবে বদল আনেননি বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি৷ সিবিআই নিয়ে তাঁর সাম্প্রতিক মন্তব্যকে হাতিয়ার করেছে তৃণমূল কংগ্রেসও৷ কিন্তু দল, বিরোধীরা যাই বলুন না কেন, দিলীপ আছেন দিলীপেই৷