বেলা যতই বেড়েছে ততই লাফিয়ে লাফিয়ে বিক্রি বেড়েছে জল, আইসক্রিম, ঠান্ডা পানীয়ের। বড়দিনে আইসক্রিম খাওয়ার একটা চল আছে। কিন্তু এই সময় ঠান্ডা পানীয়র বিক্রি একদমই তলানিতে এসে ঠেকে। এমনকি জলটাও তুলনামূলক কমই খাওয়া হয়। এই সময় কদর বাড়ে চা, কফি, স্যুপ জাতীয় উষ্ণ পানীয়ের। কিন্ত এবারে তার ব্যাতিক্রম হল। জল, ঠান্ডা পানীয়ের দোকানের সামনে দেখা গেল লম্বা লাইন। বরং চা, কফির দোকান কার্যত ফিকে হয়ে ছিল সারাদিন।
advertisement
আরও পড়ুন: বড়দিনের রাতে গুলি সহ পিস্তল উদ্ধার! কী উদ্দেশ্য ছিল দুষ্কৃতির? তদন্ত করছে পুলিশ
বড়দিনে এক ধাক্কায় ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা বেড়েছে কলকাতায়। রাজ্যজুড়েই ঊর্ধ্বমুখী পারদ। কার্যত হাস ফাঁস অবস্থা শহরবাসীর। বিশেষ করে বেড়াতে গিয়ে গলদঘর্ম অবস্থা সাধারণ মানুষের। কলকাতায় সকাল থেকে কুয়াশা দেখা গেলেও পরে আকাশ একেবারে পরিষ্কার হয়ে যায়। তবে এক্ষুনি বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
আরও পড়ুন: চিড়িয়াখানার খাবারের তালিকায় সেরা লুচি-মাংস! দ্বিতীয় স্থানে কে? বিরিয়ানি-চাউমিন কারা খান?
এদিন সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি। শনিবার সকালে কলকাতার তাপমাত্রা ছিল ১৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।শনিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে যা ২ ডিগ্রি বেশি। আগামী ২৪ ঘন্টায় কলকাতা শহরের তাপমাত্রা থাকবে ১৭ থেকে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাজ্যের কোথাও বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়বে। বলা যেতেই পারে আগামী কয়েক দিনের জন্য শীত প্রায় উধাও হতে চলেছে। এই রকম পরিস্থিতি চলতে থাকলে নতুন বছরের শুরুতেও শীতের প্রায় দেখা মেলাই ভার হবে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।