বৃহস্পতিবার, কলকাতায় হাজির হয় এফবিআই-এর দল। এদিন সল্টলেকে NIA দফতরে ধৃত আইএস জঙ্গি মুসাকে জেরা শুরু করেছে FBI ৷
এসএমএসে সাদা চামড়ার মানুষদের নৃশংস ভাবে হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছিল সে। হামলার সাফল্য চেয়ে বার্তাও পাঠিয়েছিল। এফবিআই বা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের জেরার মুখে পড়ে মুসা তা স্বীকার করেছে বলে এনআইএ সূত্রে খবর। ‘সাদা চামড়া’ বলতে শুধু মার্কিনিরা? না অন্য কোনও দেশের বাসিন্দা? সেই তথ্য মুসার থেকে জানতে চায় FBI ৷
advertisement
চলতি বছরের জুলাই মাসে ঢাকার গুলশনে জঙ্গি হামলায় চমকে উঠেছিল ভারতীয় উপমহাদেশ। তারপর, কয়েকদিনের মধ্যেই বর্ধমান স্টেশন থেকে জামাত জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার করা হয় মহম্মদ মসিউদ্দিন ওরফে মুসাকে। কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেউটে পান তদন্তকারীরা। উঠে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
মুসার আইএস যোগ
ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামিক স্টেট জঙ্গিদের মডিউল তৈরির অন্যতম পাণ্ডা মুসা
ঢাকা গুলশন হামলায় তার যোগ রয়েছে
হামলার চক্রান্তকারীদের একজন পশ্চিমবঙ্গে এসে মুসার সঙ্গে দেখা করে
হামলার আগে তাকে ‘অল দ্য বেস্ট’ বার্তা পাঠায় মুসা
হামলার ছক মুসা আগে থেকেই জানত
মার্কিন নাগরিকদের নৃশংস ভাবে হত্যার বার্তা দেয় মুসা
নগর দায়রা আদালতের নির্দেশে আপাতত ২ দিনের এনআইএ হেফাজতে মুসা। গুলশন হামলার পরেই তাকে জেরা করতে চায় মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। ইন্টারপোলের মাধ্যমে এনআইএ-এর সঙ্গে যোগাযোগ করে এফবিআই। বৃহস্পতিবার, কলকাতায় হাজির হয় এফবিআই-এর দল। শুক্রবারই মুসার NIA হেফাজতের শেষ দিন ৷
মুসাকে জেরা করতে কলকাতায় হাজির হয় এফবিআই-এর সাত সদস্যের একটি দল ৷ এর আগে আফতাব আনসারিকে কলকাতায় এসে জেরা করে এফবিআই ৷ ২০০২ সালে মার্কিন সেন্টার হামলায় অভিযুক্ত আফতাব ৷
গুলশন হামলায় নিহত ২৯ জনের মধ্যে কয়েকজন মার্কিন নাগরিকও ছিলেন। তাই এবার এফবিআই-এর নজরে মুসা ৷
গুলশন হামলার চক্রান্তকারীদের একাধিকবার বার্তাও পাঠিয়েছিল সে। সেই সুতো ধরেই এবার টান ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের।