এ দিন দুপুর আচমকাই মেয়ো রোডে তৃণমূলের ধর্না মঞ্চ খুলে দিতে শুরু করে সেনাবাহিনী৷ বাংলা ভাষা এবং বাঙালিদের উপরে অত্যাচারের প্রতিবাদেই মেয়ো রোডে গান্ধি মূর্তির সামনে এই ধর্না মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল তৃণমূলের পক্ষ থেকে৷ এ দিন সেই ধর্না মঞ্চই খুলে দিতে শুরু করে সেনাবাহিনী৷
সেই খবর পেয়ে মেয়ো রোডে পৌঁছন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মুখ্যমন্ত্রী ঘটনাস্থলেই পৌঁছতেই অবশ্য মঞ্চ খোলার কাজ বন্ধ রেখে ফিরে যান সেনা আধিকারিক এবং জওয়ানরা৷ তৃণমূলনেত্রী অভিযোগ করেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর নির্দেশেই তৃণমূলের মঞ্চ খুলতে এসেছিল সেনাবাহিনী৷ বিজেপির বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর অপব্যবহারের অভিযোগও তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
advertisement
এর পরই সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে পাল্টা বিবৃতি জারি করা হয়৷ সেখানে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে ভারতীয় সেনাবাহিনী (স্থানীয় সামরিক কর্তৃপক্ষ, কলকাতা) ময়দান এলাকায় দুই দিনের জন্য অনুষ্ঠানের অনুমতি দিয়েছে। ৩ দিনের বেশি অনুষ্ঠানের জন্য ভারত সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকে অনুমতি নিতে হবে। অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য দু দিনের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, তবে মঞ্চটি প্রায় এক মাস ধরে স্থাপন করা হয়েছে, অস্থায়ী কাঠামো সরানোর জন্য আয়োজকদের কাছে বেশ কয়েকবার অনুস্মারক পাঠানো হয়েছে৷ কিন্তু ওই কাঠামো সরানো হয়নি। এর পর কলকাতা পুলিশকে অবহিত করা হয় এবং ভারতীয় সেনাবাহিনী কাঠামোটি সরিয়ে দিয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য এ দিন দাবি করেছেন, কলকাতা পুলিশকে যদি সেনাবাহিনী বিষয়টি জানাতো তাহলে তৃণমূল নেতৃত্বই ওই মঞ্চ এবং কাঠামো খুলে নিত৷ মেয়ো রোডের বদলে রানি রাসমণি রোডে তৃণমূল এবার থেকে প্রতিদিন বাংলা ভাষা এবং বাঙালিদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে প্রতিদিন বিক্ষোভ দেখানো হবে বলে জানিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী৷