সুন্দরবন থেকে কোচবিহার অবধি সর্বত্র কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। এর পাশাপাশি এই রাজ্যে যে কয়েকটি ট্রানজিট পয়েন্ট বা আইসিপি রয়েছে সেই সব জায়গাতেও চলছে কড়া নজরদারি।
বাংলাদেশে অস্থির পরিস্থিতি ও অশান্তি চরমে। তাই বাংলাদেশ থেকে কিছু মানুষ ভারত তথা এই রাজ্যে অনুপ্রবেশ করতে পারেন, এমন সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে আশঙ্কা অনুপ্রবেশ করতে পারে জঙ্গিরাও। তাই সোমবার দুপুরের মধ্যে পুরো বাংলাদেশ সীমান্ত সিল করে দেওয়া হয়। বিএসএফের সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকাজুড়ে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়। সীমান্ত সুরক্ষার জন্য দেশের অন্য অঞ্চল থেকেও পূর্বাঞ্চলে অতিরিক্ত জওয়ান মোতায়েন করা হচ্ছে। বিশেষ নজর রাখতে শুরু করেছেন বিএসএফ গোয়েন্দারাও।
advertisement
অনুপ্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে যাতে অস্ত্র বা অন্য কোনও বস্তু পাচার না হয়, সেদিকেও রাখা হচ্ছে নজর। ডিজি দলজিৎ সিং চৌধুরি ডিজি (বিএসএফ)-এর অতিরিক্ত দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এদিনই তিনি উত্তর ২৪ পরগনা ও সুন্দরবনের সীমান্ত পরিদর্শন করেন। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিএসএফের অতিরিক্ত ডিজি রবি গান্ধি, দক্ষিণবঙ্গের আইজি মনিন্দর প্রতাপ সিং ও অন্যান্য আধিকারিকরা।
বিএসএফের মতে, বাংলাদেশের এই পরিস্থিতিতে স্থলভাগের সীমান্তের উপর নজর দেওয়া তুলনামূলকভাবে সহজ। সেই ক্ষেত্রে নদীপথ ও সমুদ্রপথের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সেই সূত্র ধরেই নদী সীমান্তের পাশে দিনের সঙ্গে সঙ্গে রাতেও অতিরিক্ত জওয়ান মোতায়েন করা হচ্ছে। তাঁদের হাতে রয়েছে নাইট ভিশন বাইনোকুলার। বিএসএফের দাবি, অন্ধকারেও যাতে নদী সীমান্ত পেরিয়ে কেউ না আসতে পারে, সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। সতর্ক করা হচ্ছে ঘাট মালিকদের। নৌকার মাঝিদেরও সতর্ক করা হচ্ছে, যাতে তাঁরা জলসীমা পেরিয়ে বাংলাদেশের দিকে না যান।