এ দিকে, ২০২০-র সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাস নাগাদ কসবার অফিসটি ভাড়া নেয় দেবাঞ্জন। অশোক রায় নামে এক ব্যক্তির থেকে অফিস ভাড়া নিয়েছিল বলে জানতে জেরায় জানিয়েছে দেবাঞ্জন। সেই অফিসের ভাড়া বাবদ অশোক রায়কে মাসে ৬৫ হাজার টাকা দিত সে। তদন্তকারীরা সেই দাবি খতিয়ে দেখছেন। প্রয়োজনে আশোক রায়ের সঙ্গে তার কী কথা হয়েছিল বা কীসের অফিস করবে বলে ভাড়া নিয়েছিল দেবাঞ্জন, তা জানতে অশোক রায়ের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় নথি চাওয়া হতে পারে। এমনকি তার সঙ্গে কথা বলতে পারেন গোয়েন্দারা।
advertisement
জেরায় দেবাঞ্জন জানিয়েছেন, বহুবার IAS পরিচয় দিয়ে অভিযান চালিয়েছে সে। দেবাঞ্জনের ছবি-সহ অভিযানের খবরও প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে। রবিবার দেবাঞ্জনের বাড়ি এবং অফিসে তল্লাশি চালান গোয়েন্দারা। সেখান থেকে বেশ কিছু নথি, স্ট্যাম্প, হলগ্রাম উদ্ধার হয়েছে। তবে বাড়িতে কোনও গোপন ঘোর বা গোপন লকারের সন্ধান পাওয়া যায়নি তল্লাশির সময়ে। বাড়ি থেকে উদ্ধার ৩টি অ্যান্ড্রয়েড মবাইল, একটি ল্যাপটপ ও ৫টি হার্ডডিস্ক উদ্ধার হয়েছে। জেরায় উঠে এসেছে, ৩টি মোবাইল তিনটি আলাদা কাজে ব্যবহার করত সে। তবে বেশিরভাগ কথাবার্তা বলত হোয়াটসঅ্যাপ বা VOIP-তে। দেখা গিয়েছে, ২টি মোবাইলের হোয়াটসঅ্যাপে কিছু চ্যাট মোছা হয়েছে। তবে ব্যাকআপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সেই সব কথোপকথন।
কার কার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল দেবাঞ্জনের?
দেবাঞ্জনের ফেনের কললিস্ট থেকে একাধিক তথ্য পাওয়া গিয়েছে। সেখানে কার কার সঙ্গে তার নিয়মিত কথা হত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হার্ডডিস্ক থেকে প্রচুর ছবি ও ভিডিও পাওয়া গিয়েছে। তদন্তকারীদের অনুমান, প্রভাব খাটাতে ওই ভিডিও ব্যবহার করত দেবাঞ্জন।