তাঁর মন্তব্য, “দুর্গাপুজোর সময় কারও মাথার উপর থেকে ছাদ চলে যাবে, এটা আদালত চায় না।” বিচারপতি আরও জানান, পুজো মিটে গেলে এই নিয়ে আদালত পরবর্তী নির্দেশ দেবে। প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ওই নির্মাণ ভাঙা হবে।
ফ্ল্যাট মালিকদের উদ্দেশে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, “প্রোমোটার ঠকাতে পারে। কিন্তু আদালত ঠকাতে পারে না। মানবিকতা বলে তো জিনিস আছে। আপনাদের বাড়ি এখনই ভাঙছি না। আপনারা ঠকেছেন, এটা দেখার পরে আমি মত পরিবর্তন করছি।”
advertisement
আরও পড়ুন- পুজোর উদ্বোধনে অমিত শাহকে এনে চমক BJP-র এই কাউন্সিলরের, জোর চর্চা পদ্ম শিবিরেই
মঙ্গলবার ওই বেআইনি ১৬টি পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পরে তাঁদের তিনি জানান, ফ্ল্যাটের বকেয়া টাকা প্রোমোটারকে দিতে হবে না।
প্রোমোটারদের উদ্দেশে বিচারপতি জানান, ফ্ল্যাট মালিকদের সব টাকা ফেরত দিতে হবে। পুজোর পরে এই নিয়ে ইডিকে তদন্তভার দেওয়া হতে পারে।
দু’জন প্রোমোটার টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ না দেওয়ার জন্য বিচারপতিকে অনুরোধ করেন। বিচারপতির মন্তব্য, একটা ইট লাগাতে গেলে পুরসভার অনুমতি লাগে। এতই ক্ষমতা যে চারতলা ভবন তৈরি হয়ে গেল, কেউ কিছু জানল না!
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে কেঁদে ফেললেন ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চামেলি নস্কর। ওই এলাকার মানুষদের অবস্থা আদালতের কাছে বলতে গিয়ে কাঁদলেন কাউন্সিলর। বিচারপতির কাছে তাঁর অনুরোধ, ওই মানুষদের জন্য কিছু একটা ব্যবস্থা করা হোক।
আরও পড়ুন- আপাতত ৪-৫ দিন শুষ্ক আবহাওয়া,আগামী ক’দিন উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে আবহাওয়া কেমন থাকবে
ওই ১৬টি পরিবার নিয়ে কী করা যায়, তা নিয়ে বিধাননগর পুরসভার মেয়র, চেয়ারম্যান এবং কাউন্সিলরের সঙ্গে আলোচনা করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি। তিনি জানান, আগামী ২৪ নভেম্বরের মধ্যে সব দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, আদালতে তা রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে। আপাতত ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভাঙার নির্দেশ স্থগিত থাকবে।