একদিকে যখন বিজেপির লালবাজার অভিযানে ধুন্ধুমার, চলছে পুলিশের লাঠি- কাঁদানে গ্যাস, জলকামান। পড়ছে বোমা। ওদিকে তখন রাজধানীতে রাজ্যের আখের গোছাতে মোদির সঙ্গে বৈঠকে ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লালবাজার অভিযােন কৈলাস, রূপা, লকেট, দিলীপ আটক হলেন। অমিত শাহ রাজ্য নেতৃত্বের থেকে জানতে চাইলেন, কেমন হল? রাজ্য বিজেপির এসব কর্মকাণ্ড নিয়ে কিন্তু মাথাব্যথাই নেই তৃণমূল সুপ্রিমোর।
advertisement
গঙ্গা ভাঙন রোধে কেন্দ্রীয় সাহায্য হাসিল করতে মোদির সঙ্গে আলোচনাই বরং বেশি প্রয়োজনীয় বলে মনে করেছেন তিনি। রাজ্য বিজেপি অবশ্য মোদি-মমতা বৈঠককে নিজেদের অস্বস্তির কারণ হিসেবে মানতে চায়নি।
তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকে মমতা বলেছিলেন, রাজ্যে কংগ্রেসকে ছেড়ে দিন, আমি বুঝে নেব। বিরোধী ঐক্য হোক বা রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, দিল্লি গিয়ে সনিয়ার সঙ্গে তাঁর একাধিকবার বৈঠকে কি সেই বার্তাই স্পষ্ট হচ্ছে? রাজ্যে কংগ্রেসের মুখ বলতে অধীররঞ্জন চৌধুরী। কিন্তু প্রদেশ কংগ্রেসের সঙ্গে জেলা নেতৃত্বের যোগাযোগ ক্ষীণ। আবার মানস ভুঁইয়াকে রাজ্যসভার প্রার্থী করে মাস্টার স্টোক দিয়েছেন মমতা। তাই হাত শিবিরকেও রাজ্যে একহাত িনতে পিছপা নন মমতা, তা পরিষ্কার। অন্যদিকে বিজেপি মুখে যতই বলুক তাঁরা রাজ্যে দ্বিতীয় দল হিসেবে উঠে আসছে, সেখানে মমতার কৌশলে বাংলায় বিজেপি-র উত্থানের আশা কতটা? তা কিন্তু প্রশ্নের মুখে।