তাঁদের প্রধান দাবি আগে জারি করা নির্দেশিকা অনুযায়ী চলতি মাসের ২২ তারিখই ছাত্র ইউনিয়নের নির্বাচন করতে হবে। ডাক্তারি পড়ুয়াদের হুঁশিয়ারি দ্রুত নির্বাচন না হলে আমরণ অনশন চলবেই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের প্রশাসনিক ভবনের ভেতরে। অন্য দিকে বুধবার রাতে স্বাস্থ্যভবনে মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ-সহ অন্যান্য আধিকারিকদের বৈঠকে এই নির্বাচনের বিষয় কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। বৈঠক করে বেরিয়ে মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান সুদীপ্ত রায় জানান, এখনই মেডিক্যাল কলেজে নির্বাচন সম্ভব নয়।
advertisement
আরও পড়ুন: ছাড়াল ১৫০! মোদি ম্যাজিকে টানা সপ্তমবার গুজরাত দখলের পথে বিজেপি! গান্ধিনগরে উৎসব শুরু
আরও পড়ুন: দিনের শুরু থেকেই ত্রিশঙ্কুর ইঙ্গিত হিমাচলে, এবার কি তবে আরও বড় নাটকের অপেক্ষা?
প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহের সোমবার বিকেল থেকে ছাত্রদের একাংশ নির্বাচনের দাবীতে ৩৪ ঘন্টা ঘেরাও বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভে আটকে পড়েন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ, সুপার-সহ ২৩ বিভাগের বিভাগীয় প্রধানরা। প্রায় ২৪ ঘণ্টা পরে তিনজন বিভাগীয় প্রধানদের বিক্ষোভ থেকে ছেড়ে দেওয়া হলেও বিক্ষোভ নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যায় ডাক্তারী পড়ুয়াদের একাংশ। মঙ্গলবার সেন্ট্রাল ল্যাব দুই ইউনিয়নের সমস্যায় বন্ধ হয়ে যায় প্রায় তিন ঘন্টার জন্যে। পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ায় সমস্যায় পরে রোগীর পরিজন। সেই আঁচ এসে পড়ে বিক্ষোভ আন্দোলনকারীদের উপর।
এদিনই প্রশাসনিক ভবনের গেটের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকতে যায়। তার কিছু সময়ের মধ্যে বিক্ষোভকারী ছাত্রদের কয়েকজন অধ্যক্ষর সঙ্গে কথা বলতে গেলে একজন ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ করে ছাত্ররা। মেডিক্যাল কলেজের এই দুই ঘটনার তদন্তের দাবিও করা হয় আন্দোলনকারী ছাত্রদের তরফে। অবশেষে দীর্ঘ ৩৪ ঘণ্টা পর অবস্থান উঠলেও ছাত্ররা হুমকি দেন ২২ ডিসেম্বর নির্বাচন না হলে আমরণ অনশন করবেন তাঁরা। ছাত্রদের নির্বাচনের দাবী কলেজ প্রশাসন না মানায় বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার কিছু পরে আন্দোলনকারীদের পাঁচ জন অনির্দিষ্ট সময়ের জন্যে অনশন শুরু করেন।