সেই কর্মী চন্দন দৌড়ে প্রাণ ভয়ে হাসপাতালে অন্য জায়গায় পালানো মাত্রই শুরু হয় অন্য রোগীর পরিবারদের মধ্যে আতঙ্ক। সেই কথা অন্য রোগীর পরিবারের কানে যেতেই রীতিমতো হুড়োহুড়ি শুরু হয় হাসপাতাল চত্বরে। ওই কর্মীরা নিদিষ্ট দফতরে ফোন করে জানিয়ে দেন পুরো ঘটনার কথা। সেই ঘটনার সঙ্গে এটাও জানিয়ে দেওয়া হয় এই ধরনের বিপদের সঙ্গে কাজ করা কার্যত অসম্ভব। এই খবর পাওয়া মাত্রই ওই সরকারি প্রকল্পের একটি দফতরের আধিকারিক সুকান্ত পাল এসে পুরো বিষয়টি দেখার পরেই কথা বলেন কর্মীদের সঙ্গে।
advertisement
কর্মীদের মুখে সাপের আতঙ্কের কথা শুনে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। যদিও বলে দেওয়া হয়, এই ঘটনার পরে কাজ করা তখনই সম্ভব যখন সাপ নেই বলে বন দফতর স্পষ্ট করবে। ওই কর্মী চন্দন রায় বলেন, ''আর একটু হলেই বিষধর সাপের কামড়ে প্রাণটাই যেত।'' এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই রোগীর পরিবারের সদস্যরা জানান, সকালে বলে দেখা গেল, রাতের অন্ধকার হলে তো কামড়েই দিত! অন্য একজন রোগী আত্মীয় বলেন, রাতে দিকে এখানে ঘুমোতে হয়, এরপর আর ঘুমই আসবে না। যদিও স্বাস্থ্য দফতর থেকে জানানো হয় বন দফতরকে। সেই দফতরের অফিসার এসে সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। সাপ হাসপাতাল চত্বর থেকে নিয়ে যাওয়া হলেও আতঙ্ক এখনও পিছু ছাড়েনি হাসপাতালে থাকা রোগীর পরিবারের সদস্যদের।