কীভাবে গ্রেফতার?
রাজ্য পুলিশের এসটিএফ সূত্রে খবর, ধৃত জামিল ও শাকিল আগেও কলকাতায় এসেছিল একাধিকবার। বিহারের ভাগলপুর থেকে আসছিল বাসে করে। এরপর টেকনোসিটি এলাকায় নামে। একটি ট্যাক্সি ধরে এরপরই এসটিএফ ধাওয়া করে ট্যাক্সিকে ধরে। গোয়েন্দাদের কাছে আগে থেকেই খবর ছিল। জামিলের পিঠে ব্যাগ ছিল। ওই ব্যাগের মধ্যে থেকেই আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়। এসটিএফ সূত্রে খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগণার বর্ডার এলাকায় ওই অস্ত্র ও বিস্ফোরক পৌঁছানো কথা ছিল। তাহলে কী কলকাতাকে ট্রানসিট রুট হিসাবে ব্যবহার করছিল অস্ত্র কারবারিরা।
advertisement
বড়দিনের আগে কি শহরে বা শহরতলিতে কোনো নাশকতা মূলক ঘটনা ঘটানোর প্ল্যান ছিল?
শনিবার বড়দিন। আর তার আগেই শহর থেকে উদ্ধার ১৩ কেজি বিস্ফোরক, চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। কিছু মাস আগে ডানকুনি থেকে বাসে করে অস্ত্র কারবারিদের আসার সময় এসটিএফ গ্রেফতার করে, উদ্ধার হয় কারবাইন-সহ একাধিক অস্ত্র। এ বার ফের শহরে কারবাইন ও বিপুল পরিমান বিস্ফোরক উদ্ধার। আগে যারা গ্রেফতার হয়েছিল তাদের সঙ্গে শাকিল ও জমিলের কোনও যোগ আছে কিনা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। দক্ষিণ ২৪ পরগণাতে কোথায় কাকে দেওয়ার কথা ছিল? এর আগে কতবার কলকাতাতে এসেছে দুই ধৃত? বিহার থেকে ওই অস্ত্র ও বিস্ফোরক কার থেকে এনেছিল? এ সবেরই উত্তর খুঁজছেন গোয়েন্দারা। এই চক্রে আরও কারা জড়িত সেই বিষয়ে জেরা করা হচ্ছে ধৃতদের।
Arpita Hazra