উচ্চমাধ্যমিকের প্রথম দিনে বাংলা প্রশ্নপত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপে। পরীক্ষা শুরুর পরে হোয়াটসঅ্যাপে এলেও তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। দুটি পার্টে পরীক্ষা হয়। পার্ট এ ও পার্ট বি। হোয়াটসঅ্যাপে পার্ট এ বেরনোর সঙ্গেই পার্ট বিও বেরিয়ে যায় । যাকে ঘিরে রহস্য ঘনীভূত হয়েছে। কারণ, পার্ট বি-এর প্রশ্নপত্র এমসিকিউ। সংসদের নির্দেশ অনুযায়ী এই প্রশ্নপত্র উত্তর করে পরীক্ষাকেন্দ্রে জমা দিয়ে যেতে হবে। কোনওভাবেই এই প্রশ্নপত্র বাইরে আসবে না। কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপে পার্ট বি-ও এদিন বেরিয়ে আসে। কীভাবে প্রশ্নপত্র এল হোয়াটসঅ্যাপে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। মালদহে সুজাপুর ও কালিয়াচক এলাকা থেকে প্রশ্নপত্র বেরিয়েছে বলে অভিযোগ, তবে সংসদ সভাপতি মহুয়া দাসের দাবি, তিনি জানেন না। পুরোটাই শোনা।
advertisement
আরও পড়ুন--পরীক্ষা কেন্দ্র নিয়ে ভুল তথ্য স্কুলের, বিপাকে পাতিপুকুরের ২২ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা
কেউ চক্রান্ত করছে বলেই দাবি উচ্চ-মাধ্যমিক সংসদ সভাপতি মহুয়া দাসের। ইচ্ছাকৃত ভাবে ছড়ানো হচ্ছে বিভ্রান্তি। এর পিছনে কাজ করছে কোনও চক্র। কে বা কারা এই কাজ করল, তা নিয়ে তদন্ত হবে। কড়া বার্তা সভাপতির। তবে এর জন্য পরীক্ষায় কোনও সমস্যা হয়নি বলেও জানান তিনি।
শনিবারই সাংবাদিক সম্মেলন করে পরীক্ষা প্রশ্নপত্র নিরাপত্তার জন্য একাধিক নিরাপত্তাবিধি উল্লেখ করেছিলেন সংসদ সভাপতি ৷ পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে ঢোকা বন্ধ করতে স্পেশ্যাল অবর্জারভারের ব্যবস্থাও করা হয় ৷ দ্বিতীয়ত পরীক্ষার ঘরেও দু’জনের বদলে তিনজন ইনভিজিলেটর নিয়োগ করার কথা বলা হয়। মোবাইল ঘরেও ব্যবহার হচ্ছে কি না, সেটা জানতে। ভেন্যু সুপারভাইজার ছাড়া কেউ মোবাইল ব্যবহার করলে ফর্ম দেওয়া হয়েছে, যা গোপন সূত্র মারফত। তারপরেও কী করে এই প্রশ্নপত্র হোয়াটঅ্যাপে বেরলো। প্রশ্ন কিন্তু উঠছেই ৷
মাধ্যমিকে খোদ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সময়ের আগে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খোলার অভিযোগে এখন তদন্ত চলছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে দায়ী না করা হলেও এবার উচ্চমাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র বেরোন নিয়ে সংসদের তরফে যে গাফিলতি হয়েছে তা স্কুল দফতরের আধিকারিকদের একাংশ মনে করছেন।