হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশনের ফুড প্লাজাকে তুলনা করা হয় বিমানবন্দরের ফুড লাউঞ্জের সাথে। কারণ একসঙ্গে অনেক যাত্রী এখানে দাঁড়িয়ে বা বসে খেতে পারেন। একই সঙ্গে খাবার নিয়ে তাঁরা যেতেও পারেন। কার্যত এটি টেক অ্য়াওয়ে সিস্টেম। যদি হাওড়া স্টেশনের ফুড প্লাজার কথাই ধরে নেওয়া যায় তাহলে প্রায় ২৭৫ জন বসে ও দাঁড়িয়ে খাবার খেতে পারেন৷
advertisement
চা, কফি, ফ্রুট জুস থেকে শুরু করে ফিশ ফ্রাই, বিরিয়ানি বা ইডলি-ধোসা সবটাই মেলে এখানে। কিন্তু ২০২০ মার্চ মাস থেকে সেই ফুড প্লাজা বন্ধ হয়ে পড়ে ছিল। বাসন উল্টে রাখা ছিল। আভেনে বহুদিন না ব্যবহার করার চিহ্ন স্পষ্ট ছিল।খাদ্যের তালিকায় ধুলো জমেছে। শুধু জল, কোল্ড ড্রিংক আর চিপস, বিস্কুট ভেন্ডার হুইলে বিক্রি করতে পারছিল ফুড প্লাজা সংস্থা।
স্টেশনের এই সমস্ত ফুড প্লাজা নিয়ন্ত্রণ করে আই আর সি টি সি। তারা ফুড প্লাজা খুলে রাখার অনুমতি দিয়েছে। প্রতিদিন ২০% লাইসেন্স ফি দিয়ে। এ ছাড়া বসে বা দাঁড়িয়ে ফুড প্লাজায় খাওয়া যাবে না। খাবার নিয়ে চলে যেতে হবে। গত পুজোয় এমনই নিয়ম চালু করেছিল। এই পদ্ধতিতে ফুড প্লাজা চালানো অলাভজনক বলে জানিয়েছিল ফুড প্লাজার মালিকপক্ষ। হাওড়া ফুড প্লাজার সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে জড়িতরা জানিয়েছিলেন, "বছরের শুরুতেই ছয় কোটি টাকা দিয়েছি ফুড প্লাজা চালাতে। এখন যদি আবার প্রতিদিন ৩০ হাজার করে দিতে হয়, তাহলে আমাদের পক্ষে চালানো মুশকিল। মাসে শুধু ফুড প্লাজা খুলে রাখতেই যদি ৯ লাখ ৩০ হাজার দিতে হয় তাহলে আমাদের যে পরিমাণ টাকার বিক্রি করতে হবে তা লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকায় সম্ভব ছিল না।"
আরও পড়ুন : ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতিতে ছুটবে লোকাল! শিয়ালদহ ডিভিশনের যাত্রীদের বিরাট সুখবর দিল রেল
নয়া ফুড প্লাজায় যাত্রীরা বসে খাবার খেতে পারবেন। স্যানিটাইজড হবে নিয়মিত। এক যাত্রী সঞ্জয় মন্ডল জানাচ্ছেন, "এখান থেকেই খাবার কিনতাম৷ স্টেশনে এসে দেখেছি বন্ধ এটি। আমি পাটনা যাতায়াত করি ৷ এ বার কোথায় খাবার পাব তাই তো বুঝতে পারতাম না।" একই ধরনের অভিযোগ অরুণ রায়ের। তিনি জানাচ্ছেন, "দূরপাল্লার ট্রেনে যাওয়ার জন্যে সবাই স্টেশনে এসেই খাবার কেনেন। সেটাও মিলছিল না। ফলে আমাদের অসুবিধা চূড়ান্ত ছিল।" আজ থেকে সেই অসুবিধা মিটল।
আরও পড়ুন : ক্যাচ মিস, ম্যাচ মিস! পাকিস্তানকে বদলা নেওয়ার সুযোগ করে দিল রোহিতের ভারত
এই দুইয়ের দ্বন্দের মধ্যে একদিকে ক্ষতি ফুড প্লাজার৷ অন্যদিকে সমস্যায় যাত্রীরাও। নয়া নির্দেশিকায় তা কাটতে চলেছে বলে মনে করছেন ফুড প্লাজার আধিকারিকরা।