কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ এই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মূলত লোহার কাঠামো এবং স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে আছে হাওড়া ব্রিজ। ফলে সেগুলি কেমন অবস্থায় রয়েছে, তা খতিয়ে দেখার উদ্দেশ্যেই এই স্বাস্থ্য পরীক্ষা বলে কলকাতা বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে। সে ক্ষেত্রে লোহার কাঠামোর প্রতিটি কোণা এবং অন্যান্য অংশ পরীক্ষা করে দেখা হবে, সেগুলি ঠিকঠাক অবস্থায় রয়েছে কিনা।
advertisement
১৯২৬ সালে আর এন মুখোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে একটি কমিশন হুগলি নদীর উপর একটি বিশেষ ধরনের ঝুলন্ত সেতু নির্মাণের সুপারিশ করেছিল। সেই মতো ১৯৩৭ সালে ব্রিজ তৈরির কাজ শুরু হয়। ১৯৪৩ সালে কাজ শেষ হয়। এরপর ১৯৪৩ সালের ৩ ফ্রেব্রুয়ারি ব্রিজটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এর দৈর্ঘ্য ৪০৫ মিটার এবং প্রস্থ ২১.৬ মিটার।
এর আগে একবার ২০০৪ সালে একবার বিটুমিনাস স্ক্র্যাপিংয়ের কাজ হয়েছিল হাওড়া ব্রিজে। বন্দরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই ব্রিজের ওপর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ১,৫০,০০০ জন পথচারী যাতায়াত করেন। আর প্রায় ১ লক্ষ গাড়ি চলাচল করে। তথ্য অনুযায়ী, সকাল ৮টা থেকে ৮টার মধ্যে সবচেয়ে বেশি গাড়ি যাতায়াত করে হাওড়া ব্রিজে। সেই সময় প্রতি মিনিটে ৫৫০টি গাড়ি যাতায়াত করে।