TRENDING:

Howrah and Kolkata Municipal election| হাওড়া কলকাতায় পুরভোটে বিশেষ গুরুত্ব রুদ্র-রথীনদের! বিজেপির অন্দরে অশান্তির ছায়া

Last Updated:

Howrah and Kolkata Municipal election: একদিকে, আদালতে গিয়ে কার্যত পুরভোট আটকানোর চেষ্টা অন্যদিকে, পুরভোট আটকানো না গেলে মুখরক্ষার লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: রাজনৈতিক মহল বলছে, বিজেপির রাজ্য সভাপতির অবস্থা যেন ক্রুশবিদ্ধ যিশুর মতো। ক্রুশবিদ্ধ যিশু ক্রসেডারদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, "হে ঈশ্বর, এরা জানে না, ওরা কি করল! তুমি এদের ক্ষমা কোরো।"  হাওড়া কর্পোরেশন থেকে বালিকে আলাদা করে ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বললেন, " তৃণমূল জানে না তারা কী ভুল করল! " তবে, খ্রিস্টের মতো সুকান্ত তৃণমূলকে ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য ঈশ্বরকে বলবেন না। বরং, আদলতের ওপরেই ভরসা রেখেছেন সুকান্ত।
পুরভোটে বিশেষ দায়িত্ব পাচ্ছেন রুদ্রনীল ঘোষ প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালরা।
পুরভোটে বিশেষ দায়িত্ব পাচ্ছেন রুদ্রনীল ঘোষ প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালরা।
advertisement

সুকান্তর দাবি, " কলকাতা পুরভোট কি হবে তা জানি না, তবে, হাওড়া পুরভোট আইন সম্মত করা যাবে না। আমরা আদালতে গেছি, আশাকরি, সুবিচার পাব। "

একদিকে, আদালতে গিয়ে কার্যত পুরভোট আটকানোর চেষ্টা অন্যদিকে, পুরভোট আটকানো না গেলে মুখরক্ষার লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি। এই দ্বিবিধ লড়াইয়ের প্রস্তুতি শুরু করে দিল বিজেপি। পুরভোটের দিন ঘোষনা চূড়ান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আজ কলকাতা ও হাওড়ার নেতৃত্বকে ডেকে বৈঠক করেন সুকান্ত, শুভেন্দুরা৷ পর্যবেক্ষকদের মতে, নিয়মমাফিক কিছু কমিটি গড়া ছাড়া বিশেষ এগোতে না পারলেও, কমিটির পদ প্রাপ্তিকে কেন্দ্র করে শুরুতেই বিজেপি ফিরল বিজেপিতেই।

advertisement

হাওড়ার ৫০ টি ওয়ার্ডের জন্য একটি কমিটি গড়া হয়েছে। চেয়ারম্যান করা হয়েছে, তৃণমূল থেকে বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দেওয়া রথীন চক্রবর্তীকে৷ আর, কলকাতাকে চারটি জোনে ভাগ করে গড়া হয়েছে ৪ কমিটি। তাদের মাথায় বসানো হয়েছে উত্তর কলকাতা জোনের জন্য কল্যাণ চৌবে, দক্ষ্মিণ কলকাতার জন্য রুদ্রনীল ঘোষ, সাউথ সাবার্বানের জন্য তুষার কান্তি, এবং মধ্য কলকাতা জোনের চেয়ারম্যান করা হয়েছে প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালকে।

advertisement

গোল বেঁধেছে এখানেই। হাওড়ার রথীন, দক্ষিণ  কলকাতার রুদ্রনীল বা প্রিয়ঙ্কা- এরা কেউই সেই অর্থে আদি বিজেপি তো নয়ই। বরং, এদের কেউ কেউ সরসরি তৃণমূল বা বামপন্থী ছিলেন। ফলে,বৈঠকের মধ্যেই হতাশ আদি বিজেপি আর নব্য বিজেপির মনোমালিন্য প্রকাশ্যে চলে এল।

আরও পড়ুন-পুরভোটের বিজ্ঞপ্তি কবে, কতটা প্রস্তুত বিরোধী শিবির, যে তথ্য উঠে আসছে

advertisement

সূত্রের খবর, পদ নিয়ে চাপানউতোর এমনটা বেড়ে যায়, যে এক সময়,শুভেন্দু অধিকারী নাকি বলেন, "নিজেরা কুৎসা করবেন না লড়াই করবেন সেটা ঠিক করুন আগে। এই ঐক্য নিয়ে আপনারা জিতবেন হাওড়া পুরসভা?  আমি তো আপনাদের এক নেতাকে জানি, যিনি তৃণমূলের অরুপ রায়ের সঙ্গে এক পাতে না খেয়ে ঘুমোতে যান না।" যদিও, এই মনোমালিন্যের বিষয় স্বীকার করেননি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
​'শুভ বিজয়া' সন্দেশ স্পেশালে মন মজেছে জনতার! বর্ধমানের মিষ্টির দোকানে ভিড়
আরও দেখুন

যাইহোক, প্রস্তুতি বৈঠকের শুরুতেই রাজ্য বিজেপির অন্দরের যে ছবি উঠে এল, তা নিয়ে তৃণমূলের মত শক্তিশালী সংগঠনের সঙ্গে আদৌ কতটা লড়াই দেওয়া যাবে তা নিয়ে সংশয় রয়ছে রাজ্য বিজেপিতে।

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Howrah and Kolkata Municipal election| হাওড়া কলকাতায় পুরভোটে বিশেষ গুরুত্ব রুদ্র-রথীনদের! বিজেপির অন্দরে অশান্তির ছায়া
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল