রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রের দাবি, গত আর্থিক বছরেই ব্যালট বক্স-সহ ভোটের বেশ কিছু সরঞ্জাম কেনা হয়েছে। তা না-হলে ভোটের খরচ আরও বাড়ত। গত পঞ্চায়েত ভোট করতে খরচ হয়েছিল ৩৬০ কোটি টাকা। এই খরচ বাড়ার পিছনে গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন ও তার সঙ্গে তাল রেখে বুথের সংখ্যা বৃদ্ধিকে বড় কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। গত পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যে গ্রাম পঞ্চায়েতে আসন ছিল ৪৮ হাজার ৬৫০। আসন পুনর্বিন্যাসের সময়ে প্রতি ৯০০ ভোটার পিছু একটি গ্রাম পঞ্চায়েত কেন্দ্র করতে গিয়ে সংখ্যাটা বেড়ে হয়েছে ৬৩ হাজার ২২৯। ফলে বুথের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬১ হাজার ৬৩৬। বেড়েছে বুথ পিছু খরচও। আদালত প্রতি বুথে সিসিটিভি লাগানোর কথা বলেছে। তা না-হলে ভিডিয়োগ্রাফি করতে হবে। এতে গড়ে বুথ পিছু খরচ ৭৫ হাজার টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রথমে এই খরচ ধরা হয়েছিল ৭০ হাজার টাকা। গত পঞ্চায়েত ভোটে বুথ পিছু গড় খরচ ছিল ৬০ হাজার টাকার কম।
advertisement
কিছুদিন আগে রাজ্যের ১০৮টি পুরসভা ও কলকাতা সহ-পাঁচ পুরনিগমের ভোট করতে রাজ্যের খরচ হয়েছে প্রায় ২৭০ কোটি টাকা। কলকাতা বাদে শুধু চার পুরনিগমের জন্য খরচ হয়েছে মাত্র ৪০ কোটি টাকা। পঞ্চায়েতের তুলনায় খরচ কম হওয়ার কারণ হিসেবে কমিশনের যুক্তি, পুরভোট হয়েছিল ইভিএমে। বুথের সংখ্যাও কম ছিল। পুরভোটে বুথের সংখ্যাটা প্রায় ২০ হাজার। কমিশন কর্তাদের মতে, পুরভোটের সঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটের তুলনা চলে না। পঞ্চায়েত ভোট অনেকটা বিধানসভা-লোকসভা ভোটের সমতুল। তার উপর গোটা ভোট প্রক্রিয়াটাই হয় ব্যালটে। ব্যালটের জন্যই খরচ অনেকটা বেড়ে যায়। কমিশনের কর্তাদের দাবি, ব্যালট ছাপতে কাগজের দাম বেডে়ছে অস্বাভাবিক। শুধু ভোটগ্রহণ নয়, গণনাতেও অনেক বেশি লোকের প্রয়োজন হয়। এবার পঞ্চায়েত ভোটে চার লক্ষ ভোটকর্মী প্রয়োজন হচ্ছে। তাঁদের ভাতা মেটাতেই মোটা টাকা গুনতে হবে কমিশনকে। নবান্নের এক কর্তা জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত ভোটের জন্য টাকার অভাব হবে না। শীঘ্রই কমিশনের প্রস্তাব মতো প্রথম দফার টাকা বরাদ্দ করা হবে।
ভোটের খরচ
২০২৩ পঞ্চায়েতে খরচ হতে পারে- ৫০০ কোটি টাকা
২০১৮ পঞ্চায়েতে খরচ হয়েছিল-
৩৬০ কোটি টাকা
২০২২ পুরসভার ভোটে খরচ হবে-২৭০ কোটি টাকা ।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়