শিয়ালদহ ডিভিশনের সিনিয়র ডিভিশনাল কমারশিয়াল ম্যানেজার যশরাম মীনা জানিয়েছেন, ‘এই ব্যাজ, অনেকটা ইউনিক আইডেনটিফিকেশন আইডি’র মতো। এই ব্যাজের সামনে ভারতীয় রেলের একটা ছবি দেওয়া আছে। তার ওপরে একটা সই করা আছে। সেই সই সিনিয়র ডিসিএমের। গোলাপি রঙের সেই সইয়ের একটা বিশেষত্ব আছে। এছাড়া ব্যাজের পেছনে আছে একটা কিউআর কোড। সেটা স্ক্যান করলেই এমন কিছু তথ্য পাওয়া যাবে যা একমাত্র সরকারি কর্মচারীর কাছে থাকবে।’
advertisement
কী কী থাকছে তাতে? ওই ব্যক্তির নাম, স্টাফ নাম্বার, তার এইচআরএমএস আইডি ও কোন বিভাগে বা কোনপদে তিনি কর্মরত রয়েছেন। সম্প্রতি শিয়ালদহ ডিভিশনে গ্রেফতার হয়েছে দু’জন ভুয়ো রেল টিকিট পরীক্ষক। এর আগেও বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে নানা তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। এরই মধ্যে যাত্রীদের সাবধান ও সুরক্ষিত করতে আসল টিকিট পরীক্ষকদের দেওয়া হচ্ছে এই বিশেষ লাল ব্যাজ। তবে রেলের টিকিট পরীক্ষক বা রেলরক্ষী বাহিনী যে আচরণ করে, তাতে কী তাদের পক্ষে কে বা কারা আসল বা নকল তা বুঝতে ব্যাজ বা ব্যাজের পেছনে থাকা কিউআর কোড স্ক্যান করার সুবিধা মিলবে?
তারা কি সাধারণ যাত্রীদের এই কাজ করতে দেবেন? যশরাম মীনা জানিয়েছেন, অবশ্যই যাত্রী চাইলে তিনি পাল্টা পরিচয়পত্র দেখতে চাইতে পারবেন। তবে ওই যাত্রীকে অবশ্যই বৈধ টিকিটধারী হতে হবে।বিভিন্ন প্রান্তিক স্টেশন থেকে এই সব ভুয়ো টিকিট পরীক্ষকদের যাতায়াতের অভিযোগ আসছে। এই অবস্থায় যাত্রীদের সচেতন করতে শিয়ালদহ ডিভিশন মাইকিং, লিফলেট বিলি ও বিভিন্ন স্টেশনে প্রচার চালাবে।