পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, স্ত্রীকে খুনের পর থেকেই গ্রেফতারি এড়াতে বিভিন্ন শহরে ঘুরে ঘুরে নিজের অবস্থান বদল করছিল কার্তিক৷ কিন্তু কয়েক দিন আগে কলকাতায় ফিরে আসে সে৷ স্ত্রীকে খুনের ঘটনার পর দু মাস কেটে যাওয়ায় হয়তো অভিযুক্ত কলকাতায় ফেরার ঝুঁকি নিয়েছিল৷ কিন্তু কার্তিককে ধরতে সমাজমাধ্যমে তার ছবি ছড়িয়ে দিয়েছিল পুলিশ৷ অভিযুক্তের খোঁজ দিতে পারলে পুরস্কারও ঘোষণা করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে৷
advertisement
সোমবার এক্সাইড মোড় থেকে বাসে ওঠে কার্তিক৷ তখনই এক গৃহবধূ কার্তিককে দেখে চিনতে পারেন৷ সমাজমাধ্যমে পুলিশের ছড়িয়ে দেওয়া ছবি এবং বিবরণ দেখেই অভিযুক্তকে চিনতে পারেন ওই গৃহবধূ৷ কার্তিককে কিছু বুঝতে না দিয়ে তার পিছু নেন ওই গৃহবধূ৷ ইতিমধ্যে হরিদেবপুর থানাতেও ফোন করে খবর দিয়ে দেন তিনি৷ বাসে করে গিয়ে হাওড়া স্টেশনে নামে কার্তিক৷ তখনও সে জানে না, তার পিছু নিয়েছেন ওই গৃহবধূ৷ বুদ্ধি খাটিয়ে মোবাইল ক্যামেরায় কার্তিকের হাঁটাচলার ভিডিও তুলেও হরিদেবপুর থানায় পাঠিয়ে দেন ওই গৃহবধূ৷ সেই ভিডিও দেখে পুলিশ নিশ্চিত হয়, ওই ব্যক্তি হরিদেবপুরে স্ত্রীকে খুনে অভিযুক্ত কার্তিকই৷
এর পরই কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে হাওড়া জিআরপি থানাকে সতর্ক করা হয়৷ জিআরপি থানার ইনস্পেক্টর তপজ্যোতি দাস বাহিনী নিয়ে হাওড়া স্টেশন চত্বরে কার্তিকের খোঁজ শুরু করেন৷ গৃহবধূর থেকেও কার্তিকের অবস্থান নেয় পুলিশ৷ হাজার হাজার ট্রেন যাত্রীদের ভিড়ের মধ্যে থেকেই গ্রেফতার করা হয় কার্তিককে৷ পরে হরিদেবপুর থানার পুলিশ এসে কার্তিককে নিজেদের হেফাজতে নেয়৷
জানা গিয়েছে, কার্তিককে ধরিয়ে দেওয়া মহিলা একজন গৃহবধূ৷ তাঁর স্বামী অটো চালান৷ প্রতিশ্রুতি মতোই কার্তিককে ধরিয়ে দেওয়ায় গৃহবধূর হাতে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার এবং একটি শংসাপত্র তুলে দিয়েছে কলকাতা পুলিশ৷ ওই গৃহবধূ যেভাবে সাহস করে ঠান্ডা মাথায় একজন খুনের ঘটনায় অভিযুক্তকে ধরিয়ে দিয়েছেন, পুলিশের পক্ষ থেকেও তাঁর প্রশংসাই করা হয়েছে৷