গত কয়েকদিন ধরে খাবার না পেয়ে অসুস্থ হতে শুরু করেছে একে একে ঘোড়াগুলি। অভিযোগ, ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছে চারটি ঘোড়া। লকডাউন শুরু থেকে ব্যবসা বন্ধ। রোজগার নেই। নেই খাবার জোগাড়ের সুযোগ। আর তাতেই চিন্তায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।হেস্টিংস এলাকায়, দুই ধরণের কাজে এই ঘোড়া ব্যবহার হয়। যাদের ঘোড়ায় টানা গাড়ি আছে। তাঁদের ঘোড়ার গাড়িতে মানুষে ঘুরিয়ে, সেই থেকে আয় করেন। আর কারও ঘোড়া ময়দানে ছাড়া থাকে। সেই সব ঘোড়া ময়দানে ঘুরে ঘুরে আরোহীদের চাপায়। কিন্তু যে সব ঘোড়া গাড়ির জন্য থাকে, তাদের ছেড়ে রাখা হয় না। আর এখন ছেড়ে রাখতে গিয়ে, অসুস্থ হয়ে পড়েছে বেশ কয়েকটি ঘোড়া।
advertisement
বহুদিন ধরে এই ঘোড়ার ব্যবসার সাথে যুক্ত প্রবাল মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "এই সমস্ত ঘোড়াদের আমরা কখনও ছেড়ে রাখি না। ফলে এই সব ঘোড়াকে মাঝে দু-একদিন ছেড়ে দেওয়ায় এরা অসুস্থ হয়েছে। চিকিৎসক এখন পাওয়া মুশকিল। আমরা চেষ্টা করছি।" তবে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয়েছে খাবার না পেয়ে। প্রবাল জানান, "খাবার জোগাড় হচ্ছে না একেবারেই। ব্যবসা বন্ধ, ফলে টাকা নেই। বেশি টাকায় খাবার কেনা সম্ভব নয়। আমাদেরও পকেটে টান পড়েছে।"হেস্টিংসে গেলেই এখন দেখা মিলছে বেঁধে রাখা দেখা যাবে হাড় জিরজিরে ঘোড়ার দল। কিছু ঘোড়ার আঘাতের জায়গা নিজেরাই সারানোর চেষ্টা করছেন। লকডাউনের জেরে ময়দানে ঘাস কাটার লোক পর্যন্ত নেই। ফলে কে খাবার নিয়ে আসবে সেই জবাব কারোও কাছে নেই।
শুধু ঘোড়ার গাড়ি নয়, একই সাথে বিয়েবাড়ি বা সিনেমার শুটিং কাজে ঘোড়া নেওয়া হয় এখান থেকেই। সেটাও বন্ধ। ফলে ১৩০টি ঘোড়া নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন তাদের মালিকরা। মাঝে অবশ্য একটি পশুপ্রেমী সংগঠন কিছু খাবার দিয়ে গিয়েছিল। ব্যস ওই টুকুই। সেই খাবার শেষ একদিনেই। ফলে তাদের আবেদন রাজ্য সরকার যদি কোনও ব্যবস্থা করে দেয়। তাতে অন্তত ঘোড়াগুলিকে বাঁচানো সম্ভব হবে।
