লেবুতলা পার্কে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো উদ্বোধনের পরই তিনি পৌঁছন সল্টলেকের EZCC প্রাঙ্গণে বিজেপির নিজস্ব দুর্গাপুজো মণ্ডপে। যদিও আটোসাঁটো সময়সূচির কারণে EZCC-তে তিনি থাকেন মাত্র মিনিট তিনেক। EZCC-তে পৌঁছে অমিত শাহ ফিতে কেটে প্রদীপ জ্বালিয়ে পুজোর উদ্বোধন করেন।
এর পর তিনি দুর্গা প্রতিমার সামনে পুষ্পাঞ্জলি দেন এবং আরতিও করেন। তবে সময়ের অভাবে সল্টলেকের এই পুজো মণ্ডপে দাঁড়িয়ে তিনি কোনও বার্তা দিতে পারেননি। এই ঘটনায় শাসকদলের কর্মী-সমর্থকদের একাংশ কটাক্ষ করে বলছেন, এটি যেন কোনোমতে ‘বুড়িছোঁয়া’ করে পুজো উদ্বোধন।
advertisement
উল্লেখ্য, গত তিন বছর ধরে এই EZCC প্রাঙ্গণের পুজোটি বন্ধ ছিল। এটি ‘পশ্চিমবঙ্গ সংস্কৃতি মঞ্চে’র পুজো হলেও প্রথম থেকেই বিজেপির নিজস্ব দুর্গাপূজা হিসেবে বিখ্যাত। ২০২০ সালে বঙ্গ বিজেপির কালচারাল সেল প্রথম এই পুজো শুরু করেছিল। ২০২২ সালের পর থেমে যাওয়া এই পুজো আচমকা আবার চাঙ্গা করে তোলার পেছনে রয়েছে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের অঙ্ক।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে বিজেপির একাত্মতা প্রমাণ করার লক্ষ্যেই আবারও সাড়ম্বরে এই পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। অমিত শাহকে দিয়ে ফের একবার সল্টলেকের এই দুর্গাপূজার উদ্বোধন করানোটিও বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
এর আগে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে বিজেপির নেতা সজল ঘোষের পুজো উদ্বোধন করে অমিত শাহ সেখানে বলেন, “মায়ের কাছে প্রার্থনা করেছি, সোনার বাংলা নির্মাণ করতে পারে এমন সরকার তৈরি হোক রাজ্যে।”
আরও পড়ুন- হাওড়ার পুজো পরিক্রমা! কোথায় কী! রইল গাইড ম্যাপ
সেই সঙ্গে তিনি বিদ্যাসাগরের স্তুতিও করেন। তবে অমিত শাহ এর পুজোর উদ্বোধনে বঙ্গে আসা রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিজেপি কর্মীরা যে বাঙালি সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য নিয়ে আগামী দিনে লড়াই করবে সে বিষয় স্পষ্ট।