নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগ নতুন কিছু নয়। এরআগেও মামনি বসাকের মেধা তালিকার অনিয়মের অনুরূপ মামলায় অভিযোগ জেনে বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের প্রতিক্রিয়া ছিল "এমনটা কীভাবে সম্ভব!"
চতুর্থ দফার নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রায় সম্পূর্ণ। ডিসেম্বর মাসের মামলায় মারাত্মক অভিযোগ পেয়ে কমিশনকে প্রশ্নে বিঁধতে ছাড়েনি আদালত। এবারও সৌরভ কর্মকার-এর মামলায় হাইজাম্পে মেধা তালিকায় এগিয়ে যাওয়ার রহস্যভেদে রিপোর্ট চায় হাইকোর্ট।
advertisement
মার্চ মাসের মধ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশনের রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। কমিশনের রিপোর্ট পাওয়ার পর এপ্রিল ২০২০ মামলার ফের শুনানি বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের । সৌরভ কর্মকারের আইনজীবী ফিরদৌস শামীমে'র কথায়, "নিয়ম মেনে নিয়োগ হচ্ছে না। ওবিসি তালিকায় আমার মক্কেলের পিছনের প্রার্থী সাধারণ তালিকায় জায়গা পেয়েছে। পছন্দসই স্কুল পেয়েছে অথচ আমার মক্কেল বঞ্চিত। কমিশনের রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছি।"
নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ এই চার ক্লাসের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় বসে প্রায় ৮ লক্ষ নিয়োগপ্রার্থী। ২০১৬ সালে রাজ্যে প্রথম শুরু হয় স্টেট লেভেল সিলেকশন টেস্ট (এসএলএসটি)। প্রথম কয়েকটি পর্যায়ের নিয়োগেও একাধিকবার অভিযোগের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছে কমিশন।
আইনের গেরো কাটিয়ে অনেক নিয়োগ সম্পূর্ণ করেছে কমিশন। এবারও কি তেমনটাই হবে? নাকি অভিযোগের ঘনঘটায় ফের নিয়োগ প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হবে। উত্তর দেবে ভবিষ্যৎই।
ARNAB HAZRA