শান্তনুর আইনজীবী বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘কুড়ি বছর ধরে প্র্যাক্টিস করছেন। আই এম এ নির্বাচনে সফল হয়েছিলেন। হঠাৎ করে রাজ্য মেডিকেল কাউন্সিল একটি স্বতঃস্ফূর্ত পদক্ষেপ নেয়। তাকে যা জিজ্ঞেস করা হয় উত্তর দেন। অভিযোগ আনা হয়। তারপর দুপুরে হঠাৎ করে IMA প্রেসিডেন্ট মিডিয়া কনফারেন্স করে জানিয়ে দেন দু বছরের জন্য সাসপেন্ড। অথচ আমায় কোনও ফোন করা হয়নি। মামলা দায়ের হওয়ার পরেও কোনও ইমেল ফোন ইত্যাদির মাধ্যমে জানানো হয়নি।’
advertisement
‘ডিপ্লোমা ফেলোশিপ গ্লাসগো এটা সম্মানীয় ডিগ্রি। এটা সাধারণ মানুষ কী বুঝবেন? ডিপ্লোমা কোন ডিগ্রি নয়, সেটা কিভাবে বোঝা যাবে? মামলাকারী ৬ বছর ধরে এই ডিপ্লোমা ব্যবহার করছেন এখন পদক্ষেপ কেন?’ রাজ্যকে প্রশ্ন বিচারপতির।
সাসপেনশন চিঠিতে সই ছিল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি সুদীপ্ত রায়ের কন্যার। আদালত থেকে স্বস্তি পেয়ে সেই সুদীপ্ত রায়কেই চিঠি পাঠালেন শান্তনু। গত ৩’রা জুলাই সুদীপ্ত রায় জানান, “আমার রেজিষ্ট্রেশন সাসপেন্ড করা হয়েছে দুই বছরের জন্য। যদিও আমাকে কোনও নোটিশ আজ পর্যন্ত পাঠায়নি। চার তারিখ রাতে আমরা দেখতে পাই, ওয়েবসাইটে আমার সাসপেনশন নোটিশ আপলোড করা হয়। আমি চ্যালেঞ্জ করেছিলাম আমার রেজিস্ট্রশন বাতিল করে দেখাক? আমার সামাজিক সম্মানহানি ঘটাতে এটা করা হয়েছিল। আজ আদালত থেকে যোগ্য জবাব পেয়েছে মাননীয় সভাপতি। আমি আগের মতোই প্র্যাকটিস করতে পারব। IMA ভোটেও এমন আচরণ করতে নেমেছিল। ক্ষমতার অপব্যাবহার করে এমন আচরণ করেছিলেন মাননীয় সভাপতি। এমন আচরণের জন্য সরকারের এত কাজ সত্ত্বেও কিছু মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।”