পুজো বিসর্জন নিয়ে রাজ্যের নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে তিনটি জনস্বার্থ মামলা হয়। বুধবার মামলাগুলির শুনানিতে হাইকোর্টের তীর্ব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে রাজ্য।
অ্যাডভোকেট জেনারেলকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাকেশ তিওয়ারি জিজ্ঞাসা করেন : কী কারণে রাজ্যের বিসর্জন নিষেধাজ্ঞা? আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যে বিঘ্নিত হবে তার কি নিশ্চয়তা আছে?
অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত উত্তর দেন : আইন অনুযায়ী যে কোনও শোভাযাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে পুলিশ। গোলমালের আশঙ্কা থাকলে প্রশাসন ব্যবস্থা নিতেই পারে। তা যদি না করা হয়, তবে কি ঘটনা ঘটার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে?
advertisement
সেসময় বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন পালটা জিজ্ঞাসা করেন : যদি মনে হয় হাইকোর্টে উপগ্রহ খসে পড়বে, তাহলে কি হাইকোর্ট খালি করার নির্দেশ দেবে রাজ্য?
ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাকেশ তিওয়ারি জিজ্ঞাসা করেন : মুখ্যমন্ত্রী তো নিজেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা বলেছেন। তাহলে এমন নিষেধাজ্ঞা কেন?
অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত উত্তর দেন : আদালতের বিচার বিবেচনায় কোনও রাজনীতির বিষয় না উঠে আসে।
বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন পালটা জিজ্ঞাসা করেন : যদি দশেরা ও মহরম একসঙ্গে পড়ত তাহলে কী হত? সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে বলে কি বিভেদ তৈরি করা হচ্ছে না?
অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত উত্তর দেন : দশমীর দিন রাত দশটা পর্যন্ত কোনও তাজিয়া বেরবো না। তার পরেই শোভাযাত্রা হবে।
এসময় কড়া মন্তব্য করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাকেশ তিওয়ারি। তিনি বলেন : প্রশাসন নিজের দুর্বলতা ঢাকতেই এই নির্দেশ জারি করেছে। নিষেধাজ্ঞা কারণসঙ্গত হওয়া উচিত।
কোর্ট সিন গ্রাফিক্স আউট
বাইট কুলদীপ রায়, আইনজীবী
বাইট পার্থ ঘোষ, আইনজীবী
ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাকেশ তিওয়ারি বলেন : আপনারা ধারণা করতে পারেন। কিন্তু, নিজেদের চিন্তাভাবনা চাপিয়ে দিতে পারেন না। নিষেধাজ্ঞা কারণসঙ্গত হওয়া উচিত।
মুখ্যমন্ত্রী নিজে বলছেন রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রয়েছে। তাহলে এমন নিষেধাজ্ঞা কেন? এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমাদের অনেক মুসলিম বন্ধু রয়েছেন। যদি দুটি সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি বজায় থাকে তাহলে নিষেধাজ্ঞা কেন?