১৯০৬ সালে তৈরি হওয়া ২১ ফুট পাঁচিল ঘেরা আদিগঙ্গার পাড়ের লাল রংয়ের বাড়িটি অনেক ইতিহাসের সাক্ষী। সেখানে ব্রিটিশ জমানায় সময় কেটেছিল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস, জওহরলাল নেহরু, বিধানচন্দ্র রায়দের।সুভাষচন্দ্র বসু, চিত্তরঞ্জন দাসদের ব্যবহৃত কুঠুরি ‘হেরিটেজ সাইট’ হিসাবে চিহ্নিত রয়েছে।
আরও পড়ুন - ৮০০০ টাকার থেকেও কম দাম! 5000mAh-র দমদার ব্যাটারি, ফ্লিপকার্টে বেস্টসেলার ফোনের অফার
advertisement
আলিপুর জেলের অন্দরে রয়েছে নেহরু ভবন। রয়েছে দোতলার নেতাজি ভবন। আর ভবনের সঙ্গেই রয়েছে চিত্তরঞ্জন দাস, বিধানচন্দ্র রায়ের ব্যবহৃত কুঠুরি। ওই কুঠুরিগুলির সামনে নেতাজি, দেশবন্ধু, যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্তের মূর্তি নামের ফলক-সহ বসেছে। আলিপুর জেলের ফাঁসিকাঠেই গলা দিয়েছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী অনন্তহরি মিত্র। সেখানে প্রমোদরঞ্জন চৌধুরীরও ফাঁসি হয়। এখানেই ব্রিটিশ সরকার ফাঁসি দেয় দীনেশ গুপ্তকে।স্বাধীনতা সংগ্রামী রামকৃষ্ণ বিশ্বাস, দীনেশ মজুমদারেরও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয় এখানে। ফাঁসি মঞ্চ এবং স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ব্যবহৃত কুঠুরিগুলি হেরিটেজ সাইট হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে।রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই এই মিউজিয়াম সম্পর্কে জানিয়েছেন। বেশ কয়েক বছর আগেই আলিপুর জেল থেকে বন্দিদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বারুইপুর সংশোধনাগারে।
আরও পড়ুন - মর্মান্তিক! ধান চাষ দেখতে গিয়ে পা পড়ল বিদ্যুতের তারে, মুহূ্র্তেই ঘটে গেল সেই ঘটনা
বেশ কয়েক বছর আলিপুর জেল বিল্ডিং থেকে প্রশাসনিক কাজ চললেও বাকি কাজ বন্ধ ছিল।ঐতিহাসিক এই জায়গায় মানুষ যাতে এসে ইতিহাসের ছোঁয়া পান, সে ভাবেই সাজানো হয়েছে। প্রধান ফটকের মাথায় বসানো হয়েছে ইন্ডিপেনডেন্সমিউজিয়ামের বোর্ড। এ ছাড়া পাশের একাংশেও সেই পরিচয় তৈরি করে দেওয়া হয়েছে।
তবে এই প্রকল্পে জুড়ে যাবে আরও বেশ কিছু জায়গা৷ তার মধ্যে বিপরীত দিকে থাকা জেলের প্রেসের অংশটিও থাকবে বলে সূত্রের খবর। রাজ্যে একাধিক মিউজিয়াম থাকলেও এই প্রথম কোনও মিউজিয়াম তৈরি করা হয়েছে যেখানে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নানান ইতিহাস বর্ণিত হয়েছে।
ABIR GHOSHAL