প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের ৭৫ লক্ষ হাই প্রেশার ও সুগারের রোগীকে আদর্শ চিকিৎসার অধীনে আনা হবে। সেই মতো রাজ্যও স্থির করেছে তার লক্ষ্য। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রের খবর, সর্বশেষ ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে (৫) অনুযায়ী, বাংলার ১৯ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক সুগার এবং ২০ শতাংশ প্রাপ্ত বয়স্ক হাই প্রেশারের সমস্যায় ভুগছে। সংখ্যার দিক থেকে তা হল যথাক্রমে ৯০ লক্ষ এবং ১ কোটি। তার মধ্যেই ৭৫ লক্ষ সুগার ও প্রেশারের রোগীকে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার মধ্যে আনার লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে।
advertisement
কিন্তু লক্ষ্য স্থির করলেই তো হল না, তা পূরণ করতে হবে। প্রশ্ন হল কীভাবে ? স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, প্রথমত, ৩০ বছর ঊর্ধ্ব রাজ্য বাসীর ৮০ শতাংশের তথ্য নথিভুক্ত এবং সুগার-প্রেশার পরীক্ষা করতে হবে। দ্বিতীয়ত, মোট সুগার ও প্রেশারের রোগীর অন্তত ৬০ শতাংশের রেজিস্ট্রেশন এবং দ্রুত চিকিৎসা সুনিশ্চিত করতে হবে। তৃতীয়ত, রোজকার ক্লিনিক ছাড়াও প্রতি মাসে গ্রামীণ এলাকা এবং শহরাঞ্চলে অন্তত দু’টি করে ক্যাম্প করতে হবে।
চতুর্থত, হাসপাতালের টিকিট কাউন্টারে সাইনবোর্ড দিয়ে জানাতে হবে, ৩০ বছর ঊর্ধদের বিনামূল্যে সুগার ও প্রেশার পরীক্ষা করা হয়। পঞ্চমত, টিবি কর্মসূচি, তামাকজাত বস্তু সেবন পরিত্যাগ কেন্দ্র, সি ও পিডি ক্লিনিক প্রভৃতি প্রোগ্রামের সঙ্গে সমস্ত এনসিডি ক্লিনিককে যুক্ত করতে হবে। ষষ্ঠত, বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে কাতারে কাতারে রোগী সুগার – প্রেশারের চিকিৎসা করাতে আসেন, সেই তথ্যভাণ্ডারকে এই কাজে লাগাতে হবে।