প্রাথমিকভাবে দেবাংশু স্থানীয় এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিল। ঘটনার পর থেকেই সে বেপাত্তা হয়ে যায়। এর আগে ১০ই সেপ্টেম্বর আরেক অভিযুক্ত চন্দন মল্লিককে পুলিশ বর্ধমান থেকে গ্রেফতার করে। কিন্তু আরেক মূল অভিযুক্ত দেবাংশু পালিয়ে বেড়াচ্ছিল বলে পুলিশি তদন্তে বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছিল।
৫ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার রাতে রিজেন্ট পার্ক এলাকার এক ফ্ল্যাটে জন্মদিনের পার্টি ছিল। সেই পার্টিতে প্রভৃতি চন্দন মল্লিকের সঙ্গে গিয়েছিলেন এক তরুণী। অভিযোগ, পার্টি শেষে ওই তরুণীকে চন্দন এবং তার বন্ধু দেবাংশু বিশ্বাস মত্ত অবস্থায় জোর করে ধর্ষণ করে।
advertisement
ঘটনার পর আতঙ্কে ওই তরুণীকে আটকে রাখা হয়েছিল। পরে কোনও রকমে তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে এসে পরিবারের কাছে সব জানান। পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে ৭ই সেপ্টেম্বর শনিবার হরিদেবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ প্রথমে চন্দনকে গ্রেফতার করে। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই গা-ঢাকা দেয় দেবাংশু। বারানসী পর্যন্ত পালিয়ে যায় বলে খবর পেয়েছিল পুলিশ। তবে সেখানেও বেশিদিন থাকেনি সে। ফেরার পথে কলকাতায় ফিরে আসে এবং অবশেষে দেশপ্রিয় পার্কের কাছে তার হদিস মেলে। মধ্যরাতে সেখান থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দেবাংশু দীর্ঘদিন ধরে পালিয়ে থাকার চেষ্টা করছিল। বারবার জায়গা বদল করায় তাকে ধরা কঠিন হয়ে পড়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত পুলিশের বিশেষ টিম তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।