হরিদেবপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বালকের মৃত্যুর ঘটনায় কলকাতা পুরসভার বিশেষ তদন্ত কমিটির রিপোর্ট জমা পড়ল। কমিশনারের কছে রিপোর্ট জমা পড়েছে। চূড়ান্ত গাফিলতির ইঙ্গিত মিলল রিপোর্টে। পুরসভার কর্মীদের গাফিলতি র স্পষ্ট ইঙ্গিত। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নির্দেশে গঠিত বিশেষ তদন্ত কমিটি। কমিটিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ বিশেষজ্ঞের নেতৃত্বে কমিটি দুদিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিল। পুরসভা সূত্রের খবর, তিনটি বিষয়ে বিশেষ উল্লেখ রিপোর্টে।
advertisement
আরও পড়ুন: 'টোটো চালক-চিকিৎসককেও ডাকছে, তারপর...', দুর্গাপুরে গর্জে উঠলেন মমতা! নিশানায় কে?
সংশ্লিষ্ট বিতর্কিত পোস্টে যে আলোর সংযোগ রয়েছে, সেখানে কোনোরকম আর্থিং এর কাজ করা হয়নি ৷ পোস্টের তারগুলি সঠিকভাবে জোড়া ছিল না৷ ওয়েল্ডিংও নিয়মমেনে করা হয়নি ৷ নিয়মিত নজরদারির স্পষ্ট অভাব। ওই আলো লাগানোর পর কয়েক মাস পার হলেও জন্য কোন পরিদর্শন করা হয়নি। গত রবিবার ২৬ জুন সন্ধেয় হরিদেবপুরের হাফিজ মহম্মদ ইশাক রোডে জমা জলে আলোর পোস্ট স্পর্শ করতেই তড়িদাহত হয় নীতীশ যাদব৷ এই ঘটনায় কলকাতা পুরসভা, সিইএসসি এবং বিএসএনএল কর্তৃপক্ষ একে অপরের ঘাড়ে দোষ চাপাতে শুরু করে ৷
আরও পড়ুন: সংস্কার চলছিল রবীন্দ্রভবনের, হঠাৎ বন্ধ কাজ, নেপথ্যে এক প্রাণী!
এই ঘটনায় মেয়র এবং পৌরনিগমের কমিশনারের নির্দেশে বিশেষ কমিটি তদন্ত শুরু হয় ৷ এই প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্য, রিপোর্ট জমা পড়েছে কমিশনারের কাছে। আমি নিজেও দেখিনি। আইনের চোখে সবাই সমান। অযোগ্যদের পদে থাকার অধিকার নেই। আপনার অপদার্থতার জন্য কারো প্রাণ যদি যায় আপনিও শাস্তি পাবেন। ধামাচাঁপা দেওয়ার কোনো জায়গা নেই। কারণ অনুসন্ধান করা, যাতে আর পুনরাবৃত্তি না হয়। অনেক অফিসাররা খুব ক্যাজুয়াল নেন, অ্যাকশন না নিলে এই ক্যাজুয়ালনেস যাবে না। আসি যাই, মাইনে পাই এর দিন শেষ। বাংলায় কর্মসংস্কৃতি ফেরাতে চাই। ৩৪ বছরে যা ছিল না।