বারান্দার বাইরে ঝুলছে অশীতিপর বৃদ্ধার দেহ। শনিবার সাতসকালে এই দৃশ্য দেখে শিউরে ওঠেন নাগেরবাজারের বাসিন্দারা। শনিবার সকালে ৩৮ নম্বর রফি আহমেদ কিদোয়াই রোডের আবাসনের চারতলার ফ্ল্যাটের বারান্দার বাইরে গলায় দড়ি দেওয়া অবস্থায় ঝুলতে দেখা যায় অমিতা দত্তকে। তাঁর পা কার্নিশে ঠেকানো ছিল বলে দাবি প্রতিবেশীদের। তাঁরাই খবর দেন দমদম থানায়।
advertisement
একে কোনওভাবেই আত্মহত্যা মানতে নারাজ এলাকাবাসী। যদিও ছেলের দাবি , মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন মা।
পুলিশ সূত্রে খবর, ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে সুইসাইড নোট। তাতে লেখা, মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। যদিও পুলিসের দাবি, সেই লেখার সঙ্গে বৃদ্ধার হাতের লেখার মিল নেই। নিশ্চিত হতে বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।
----২০১৭-র অগাস্টে নাগেরবাজারের ফ্ল্যাটে ভাড়া আসে দত্ত পরিবার
--আগে কলকাতাতেই অমিতা দত্তর নামে একটি ফ্ল্যাট ছিল
---মাকে ভয় দেখিয়ে সেই ফ্ল্যাট বিক্রি করেন ছেলে নীলাচল
---নতুন ফ্ল্যাটে এসে আরও বাড়ে অত্যাচার
---অশীতিপর বৃদ্ধার দেখাশোনায় আপত্তি ছিল বউমার
---তাঁকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানোর কথাও হয়
---এই নিয়ে পরিবারে অশান্তি লেগেই থাকত
ছেলে, বউমা ও নাতনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বৃদ্ধার দেহ নিয়ে যাওয়ার সময়ে পুলিশের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা।