গতকাল দ্বিতীয় দফার ভোটে চার জেলার ৩০ আসনে ভোট ছিল। ৩০ আসনে মোট ৮৪ শতাংশ ভোট পড়েছে এদিন। এবং শুধু নন্দীগ্রামেই ৮৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। আর তাই ধনখড় কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পশ্চিমবঙ্গের পুলিশের প্রশংসা করেছেন। তাই রাজ্যপাল টুইট করছেন, "পশ্চিবঙ্গের দ্বিতীয় দফার ভোটে ৩০ আসনে ৮৪ শতাংশের বেশি ও নন্দীগ্রামে ৮০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে, যা খুবই প্রশংসনীয়। কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ অসাধারণ কাজ করেছে। আগামী দফার ভোটেও এই একই ধারা বজায় রাখতে হবে।"
advertisement
মানুষকে ভোট দেওয়ারও বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল। তিনি বলছেন, "সবাইকে ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন করছি কারণ এভাবেই গণতন্ত্র বজায় থাকবে। হিংসার কোনও জায়গা নেই।"
প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রাম থেকে লড়েছেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এতদিন এই কেন্দ্রে রেয়াপাড়ার বাড়ি ভাড়া করে ছিলেন তিনি। দ্বিতীয় দফার ভোটের আগে প্রায় প্রতিদিনই তিনি নন্দীগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় সভা করেছেন। নন্দীগ্রামে থাকাকালীন বিজেপির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ ছিল গত তিনদিন ধরে সন্ত্রাস চালাচ্ছে বিজেপি। সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য বহিরাগতদের নন্দীগ্রামে ঢোকাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
দ্বিতীয় দফার ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামের বয়ালের বুথে প্রায় দু'ঘণ্টা আটকে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছাপ্পা ভোট হচ্ছে বলে খবর পান তিনি। আর তার পরই রেয়াপাড়ার ভাড়ার বাড়ি থেকে সটান হাজির হন সেই বুথে। সেই সময়ে বয়ালের বুথের বাইরে তৃণমূল ও বিজেপি, দু'পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতিতে এলাকায় অশান্তি ছড়ায়। অবস্থা বেগতিক হওয়ায় সেখানেই বহুক্ষণ বসে থাকেন তৃণমূল নেত্রী।এমনকি, বুথে বসেই সেই সময়ে নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
