সোমবার বিকেলে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য পদে বিশ্ববিদ্যালয়ের জুওলজি বিভাগের অধ্যাপক গৌতম চন্দ্র কে নিয়োগ করেন রাজ্যপাল। নিয়োগ করার পর উচ্চশিক্ষা দফতরের কাছে সেই ফাইল যাওয়ার পরপরই জোর আলোচনা ও তৎপরতা শুরু হয়। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা না করেই রাজ্যপাল কিভাবে একতরফা নিয়োগ করেন তা নিয়েই মূলত প্রশ্ন উঠতে শুরু করে এই নিয়োগের পর। তারপরেই উচ্চ শিক্ষা দফতরের তরফে পাল্টা নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয় রাজ্যপালের এই নিয়োগ বাতিল করে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় জুওলজি বিভাগের অধ্যাপক আশীষ কুমার পানিগ্রাহী কে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য পদে নিয়োগ করা হচ্ছে।
advertisement
উচ্চ শিক্ষা দফতরের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় জানানো হয় " সহ উপাচার্যের পদ ২১ শে ফেব্রুয়ারি থেকে শূন্য পদ হয়ে পড়ে রয়েছে। বর্তমান করোনা পরিস্থিতি এবং লোকজনের জন্য বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় সহ উপাচার্যের পদটি পূরণ করা জরুরি ছিল। কিন্তু সহ-উপাচার্যের পদে নিয়োগের জন্য উচ্চ শিক্ষা দফতরের প্রস্তাব সম্মতি দেননি রাজ্যপাল। রাজ্যপাল উচ্চ শিক্ষা দফতরের পাঠানো প্রস্তাবে সম্মতি না দিয়েই তিনি নিজের পছন্দমত দুজনের নাম প্রস্তাব করেন উপাচার্য নিয়োগের আইনকে না দেখেই। তার পরেও একই প্রস্তাব রাজ্যপালকে পাঠানো হলেও দফতরের সেই প্রস্তাবে সম্মতি না দিয়ে একই সময় নিজের পছন্দমত বিশ্ববিদ্যালয়ের জুওলজি বিভাগের অধ্যাপক গৌতম চন্দ্র কে উপাচার্য পদে নিয়োগ করেন। উপাচার্য নিয়োগের আইন মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য, সহ-উপাচার্য নিয়োগ করতে হলে মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেই নিয়োগ করতে হবে। এক্ষেত্রে তা মানেননি রাজ্যপাল। তাই বিশ্ববিদ্যালয় ৫৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী নির্দিষ্ট কারণ রয়েছে রাজ্যপাল তথা আচার্যের এই নিয়োগকে বাতিল করার তাই এই নিয়োগ বাতিল করে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের জুওলজি বিভাগের অধ্যাপক আশীষ কুমার পানিগ্রাহী কে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য পদে চার বছরের জন্য নিয়োগ করা হল।"
তবে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে একই দিনে পরপর দুটি সহ-উপাচার্যের নিয়োগ পত্র জারি হওয়াতে কার্যত নজিরবিহীন বলছে উচ্চ শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা। যদিও উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের তরফে সোমবার রাতের নির্দেশিকা জারি হবার পর এখনো এই বিষয়ে রাজভবন কোনো বিবৃতি বা নির্দেশিকা জারি করেনি।
SOMRAJ BANDOPADHYAY