শুক্রবার এর পাঠানো চিঠিতে রাজ্যপাল বলেছেন "করোনা মোকাবিলায় আপনি ব্যর্থ। কৌশলে আপনি দৃষ্টি ঘোরাচ্ছেন। আপনি সংখ্যালঘু তোষণ করছেন। আপনাকে নিজাম উদ্দিন এর ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। আপনি বলেছিলেন এই প্রশ্ন সাম্প্রদায়িক প্রশ্ন। যা একেবারেই আমার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। আপনি আপনার অন্তরাত্মার কথা শুনুন। আপনি আইনের ঊর্ধ্বে নন। সুপ্রিম কোর্ট ও তাই বলে। আপনি সংবিধান অবমাননা করেছেন।"
advertisement
তবে শুধু করোনা মোকাবিলা বা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি আসার প্রসঙ্গ নিয়ে রাজ্যপাল তার পাঠানো চিঠিতে সীমাবদ্ধ রাখেননি। শুক্রবার এর পাঠানো চিঠিতে কেন্দ্রীয় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রসঙ্গ তুলে আনলেন রাজ্যপাল। তিনি চিঠিতে এও বলেন "CAA নিয়ে আপনি গণভোটের প্রস্তাব দিয়েছেন। প্রস্তাব দিয়েছিলেন রাষ্ট্রসংঘকে।" বিধানচন্দ্র রায়ের প্রসঙ্গ তুলে রাজ্যপাল তার পাঠানো চিঠিতে লেখেন " এই বাংলা বিধান চন্দ্র রায় কে দেখেছে। ওনার মত মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন। যে রাজ্যে রেশন কেলেঙ্কারি হয়না। যে রাজ্যে জনতার টাকা লুঠ হয় না।"
মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে সরাসরি আক্রমণ করেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন " আপনি তথ্য লুকাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় দল এ রাজ্যে কাজ করতে পারছে না। আপনি চিঠিতে আম্বেদকর এর কথা বলছেন। আবার সংবিধানকে আপনি অবজ্ঞা করছেন। এর থেকে বড় পরিহাস হয়না। আপনার চিঠিতে অপ্রাসঙ্গিক অজুহাত আছে। সেগুলি আপনার ব্যর্থতা ঠেকাতে চিঠিতে অজুহাত দিয়েছেন। মাইক,ঝাঁটা হাতে মুখ্যমন্ত্রী কে মানায় না।" যদিও মুখ্যমন্ত্রীকে শুক্রবার পাঠানো তার চিঠিতে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন। চিঠির একদম শেষ পর্বে তিনি লেখেন " আপনি জানবেন রাজভবনে আপনার একটি বন্ধু আছে যে মানুষের স্বার্থে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে যানে।"শুক্রবার দ্বিতীয় দফার চিঠি পাঠানোর প্রসঙ্গ এদিন টুইট করে জানান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর। টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী কে শুক্রবার দ্বিতীয় দফার চিঠি পাঠানোর কথা জানান তিনি।
দেখুন সেই চিঠি----