মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজ ভবনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে নিশানা করে আক্রমণাত্মক মন্তব্যের জেরে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একাধিক ফৌজদারি ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার বিভিন্ন ধারা অনুযায়ী শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে যে অপরাধের অভিযোগ দায়ের হয়েছে, তাতে সর্বোচ্চ ৭ বছরের কারাদণ্ডের সম্ভাবনা রয়েছে। রাজ ভবনের পক্ষে জারি করা বিবৃতিতে এমনটাই বলা হয়েছে।
advertisement
শুধু তাই নয়, অভিযোগগুলি গুরুতর ও জামিন অযোগ্য বলেও রাজ ভবনের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হেয়ার স্ট্রিট থানায় ই মেল করে এই অভিযোগ জানানো হয়েছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা আইনের যে সব ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, সেগুলি হল ১৫১ ও ১৫২,১৯৭, ১৯৬ এ,১৯৬ বি, ৩৫৩ -১ বি ও ৩৫৩ সি, ৩৫৩-২। রাজ ভবনের পক্ষ থেকে ই মেল করা অভিযোগে ধারাগুলি উল্লেখ করা হয়েছে। মূলত দেশের ঐক্য, সংহতি এবং সার্বভৌমত্বের প্রতি আঘাত, মানুষকে ভুল বোঝানো এবং হিংসা ছড়ানো সহ একাধিক অভিযোগ করা হয়েছে কলকাতা পুলিশের কাছে।
সোমবারই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এই ধরনেরভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মন্তব্য রাষ্ট্রের নিরাপত্তা,পুলিশি ব্যবস্থা এবং সাংবিধানিক পদমর্যাদার উপর সরাসরি আঘাত করে। শনিবার শ্রীরামপুরের সংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের পর সোমবার দুপুরে রাজ্যপাল কলকাতায় ফিরে এসে পুলিশের আধিকারিক, কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্য, বম্ব স্কোয়াডকে ডেকে রাজভবন চত্বরে তল্লাশির নির্দেশ দেন। যদিও রাজ্যপাল পরে জানান, রাজভবনে আপত্তিকর বা সন্দেহজনক কিছুই মেলেনি। তার পরেই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজভবনের পক্ষ থেকে কলকাতা পুলিশের হেয়ার স্ট্রিট থানায় শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছে৷ তবে রাজ ভবনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা পুলিশের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি৷
