ইতিমধ্যেই কলকাতা ও হলদিয়া বন্দরের একাধিক বিষয়ে এই মডেল অনসরণ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় জাহাজ পরিবহণ মন্ত্রক৷ বন্দর সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ২০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। আগামী ৫ বছরে ২৮ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। হলদিয়ায় অশোধিত তেল আমদানি, স্টোরেজ ও ডেসপ্যাচ টার্মিনাল গড়ে তুলতে ‘ফিজিবিলিটি রিপোর্ট’ জমা দিয়েছে ব্রহ্মপুত্র ক্র্যাকার্স অ্যান্ড পলিমার লিমিটেড। চেয়ারম্যানের মতে, পিপিপি মডেলে খিদিরপুর ডকে অন্তর্দেশীয় জলপথ পরিবহণে ১৮০ কোটি টাকার যৌথ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। এখানকার নেতাজি সুভাষ ডকের ৪ নং বার্থের কাজ শেষের মুখে। ২, ৩ ও আউটার টার্মিনালের কাজ শুরু হবে দ্বিতীয় পর্যায়ে। গোটাটাই হবে পিপিপি মডেলে। মোট ৭৫০ কোটি টাকার এই তিন প্রকল্প ছাড়াও আগামী সাত-আট বছরের মধ্যে আরও ২৫০০ কোটি টাকা বেসরকারি লগ্নি কলকাতা বন্দর পেতে চলছে বলে জানান তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন - ঝড়, বৃষ্টির দাপট বাড়ছে আরও, আগামী ২৪ ঘণ্টাতেও দুর্ভোগ চরমে, হাওয়া অফিসের সতর্কতা
আরও পড়ুন: নগদে ৫ কোটি ৬৩ লাখ, সঙ্গে ৪৬ লাখের গাড়ি! অনুব্রতর বিরুদ্ধে মুখ খুললেন বীরভূমের ব্যবসায়ী
বন্দর চেয়ারম্যান বিনীত কুমারের আরও বক্তব্য, হুগলির বলাগড়ে ৪০০ কোটি টাকায় গেট প্রশস্তকরণ ও জেটি দু’টির আধুনিকীকরণের প্রস্তাব রয়েছে। মূলত দুর্গাপুর, আসানসোল-সহ উত্তরমুখী পণ্য পরিবহণকে মসৃণ করতেই এই ভাবনা। “পাশাপাশি ফ্লোটিং ক্রেনের সুবিধা বাড়াতে ৭৫ কোটি টাকায় পিপিপি মডেলে ডায়মন্ড হারবার ও সাগরে ১৫ বছরের চুক্তিতে ফ্লোটিং ক্রেন বসাতে চলেছি আমরা।” মন্তব্য তাঁর। উল্লেখ্য, কয়েক বছর আগে কেপসাইজ জাহাজ টানার জন্য গভীর সমুদ্রে বেসরকারি উদ্যোগে দু’টি ফ্লোটিং ক্রেন বসলানোর পর উল্লেখযোগ্য সাফল্য মিলেছে।আপাতত লক্ষ্য একাধিক ডকে বিনিয়োগ টানা। আর সেই কাজে সাফল্য এসেছে খিদিরপুর ডকে।
আবীর ঘোষাল