অফিসের বাইরে তিনি চারজন সহকর্মীর উপর ছুরি নিয়ে হামলা চালান। একাধিকবার তাঁদের কোপ মারেন। এরপর ছুরি হাতে, পিঠে ব্যাগ নিয়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন হামলাকারী। দৃশ্যটি নজরে আসে ট্রাফিক পুলিশের। তাঁকে অস্ত্র ফেলে দেওয়ার জন্য আবেদন করেন ট্রাফিক পুলিশের ওই কর্মী। বারবার অনুরোধ করার পর ছুরি ফেলে দেন ওই ব্যক্তি। এরপর তাঁকে আটক করা হয়। আহতরা হলেন জয়দেব চক্রবর্তী, শেখ সাতাবুল, শান্তনু সাহা, সার্থ লেট।
advertisement
আরও পড়ুন: নিউটাউনে ছুরি হাতে ঘুরে বেড়াচ্ছে কে! পরপর চার জনকে কোপ! ‘আপনি কে?’ পরিচয় শুনে চোখ কপালে সকলের
পুলিশে জিজ্ঞাসাবাদে অমিত সরকার জানিয়েছে, ডিপার্টমেন্টের কয়েকজন তাঁর মেডিক্যাল বিল আটকে রেখেছে। তিন মাস কোনও রকম বেতন যাতে না পায় সে, সেই সমস্ত রকম ব্যবস্থা করেছে ডিপার্টমেন্টের কয়েকজন। তাঁর আরও অভিযোগ, বাড়িতে বৃদ্ধা মায়ের চিকিৎসা চলছে, সেই সংক্রান্ত বিলও আটকে রাখা হয়েছে। তাঁর কথায়, ”এর পরেই আমি এই সিদ্ধান্ত নিই, কোন বিচার না পেয়ে। আজ যখন দফতরের ভিতরে ঢুকি, সেই সময় আমি প্রশ্ন তুলতেই আমাকে মারধর করা হয় প্রথমে। আমার হাত থেকে রক্ত বেরোচ্ছে। আমাকে আগে মেরেছে তারপরে আমি মেরেছি।”
তবে, কারিগরি দফতর সূত্রে খবর, অমিতের তিন চার মাস হয়েছে কারিগরি ভবনে পোস্টিং হয়েছে নবান্ন থেকে। কিন্তু আসার পর ঠিকঠাক অফিসে আসত না, ছুটি চাইলে না পাওয়ায় এই ভাবে অনুপস্থিত থাকত অফিসে। এর পাশাপাশি বেতনও পাচ্ছিল না। বার বার চাওয়ার পরেও। সেই রাগের বহিঃপ্রকাশ হয় আজ। অফিসে এসে চিৎকার গালিগালাজ করতে থাকে সে। অন্য কর্মীরা তাঁকে বাধা দিলে ব্যাগ থেকে ছুরি বের করে সে। পাশের রুম থেকে এক আধিকারিক এসে কথা বলতে গেলে তখনই এলোপাথারি ছুরি চালাতে শুরু করে সে।