প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এ দিন বেলা বারোটা নাগাদ ইএম বাইপাস থেকে সল্টলেকের দিকে ঢুকছিল এস ৯ রুটের একটি সরকারি বাস৷ অভিযোগ, সিগন্যাল ভেঙেই বাইপাস থেকে সল্টলেকের রাস্তায় ঢুকে পড়েন চালক৷ বাসের গতিও ছিল বেশি৷ সেই সময় জি সি আইল্যান্ডের সামনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দুটি রিক্সায় প্রথমে ধাক্কা মারে বাসটি৷ এর পরে ডিভাইডা্রে উঠে গিয়ে একটি গাছ এবং পাঁচিলে ধাক্কা মেরে দাঁড়িয়ে যায় বাসটি৷
advertisement
আরও পড়ুন: দু'টি মোবাইলই নিয়ে গেল সিবিআই, সাতসকালে ফোন কিনতে ছুটলেন তৃণমূল বিধায়ক
দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই ছুটে আসেন পথচারীরা৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ৷ দুই রিক্সাচালক সহ আহতদের উদ্ধার করে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানেই এক রিক্সাচালককে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা৷
আরও পড়ুন: মাঝ আকাশে আচমকা সাংঘাতিক অসুস্থতা! শেষরক্ষা হল না...! বিমানযাত্রীর মৃত্যু
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বাসটি অত্যন্ত দ্রুত গতিতে যাচ্ছিল৷ যার ফলে আইল্যান্ডের কাছে এসে আর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি চালক৷ বাসের বেশ কয়েকজন যাত্রীও দুর্ঘটনায় আহত হন৷
জানা গিয়েছে, মৃত রিক্সা চালকের নাম বৃন্দাবন প্রধান (৬৫)৷ আদতে মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা বৃন্দাবন বাবু কেষ্টপুরে ঘর ভাড়া নিয়ে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন৷
দুর্ঘটনার পরই পালিয়ে যান বাস চালক৷ তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ৷ এই দুর্ঘটনার পর ফের একবার সল্টলেকে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল৷ স্থানীয়দের অভিযোগ, অনেক জায়গাতেই বিভিন্ন মোড় অথবা আইল্যান্ডের সিগন্যালগুলি ঠিক মতো কাজ করে না৷ আবার পুলিশের নজরদারির অভাবে বহু ক্ষেত্রেই গাড়ি চালকরা সিগন্যাল না মেনে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি ছোটান৷