সোমবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে তিনি রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন রাখেন, পাহাড়ের মানুষের ভাবাবেগকে মর্যাদা দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার এবং কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে পাহাড়ে গণভোটের আয়োজন করা হোক। বিজেপি বিধায়কের দাবি, সেই রায়ই পরিষ্কার করে দেবে পাহাড়ে মানুষ আদৌ পৃথক রাজ্য অথবা, গোর্খাল্যান্ড চান কি না।
আরও পড়ুন: বাড়ছে আতঙ্ক! এবার অ্যাডিনোভাইরাসে মৃত্যু কলকাতার আড়াই বছরের শিশুর
advertisement
আরও পড়ুন: বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আলোচনা নিয়ে তুমুল হট্টগোল বিধানসভায়! উঠল 'জয় শ্রীরাম' স্লোগানও
'বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাব' সংক্রান্ত বিতর্কে অংশ নিয়ে বিষ্ণুপ্রসাদ সোমবার বলেন, "অনীত থাপা গোর্খাল্যান্ডের নাম করেই ভোটে জিতেছেন। গোর্খাল্যান্ডের নাম করে যারা রাজনীতি করে, সেই গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের জোট ছিল। গোর্খাল্যান্ডের দাবি করা এমন কিছু নেতাদের সঙ্গে আপনাদের সু-সম্পর্ক ছিল। নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে ওখানে গণভোট করুন। তাহলে বুঝতে পারবেন মানুষ কী চাইছে।"
কিন্তু, বিষ্ণুপ্রসাদের এই গণভোটের আবেদনের তীব্র বিরোধিতা করেন রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। বিজেপির বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ তুলে তাঁর দাবি, এ রাজ্যের বিজেপি নেতারা যখনই ভাগিরথী নদীর ওপারে চলে যান, তখনই তাঁরা পৃথক রাজ্যের দাবিকে সমর্থন করতে শুরু করেন। কিন্তু, দক্ষিণবঙ্গে থাকলে সবসময় অখণ্ড বাংলার কথা বলেন।
এবারই প্রথম নয়। এর আগেও রাজ্য বিধানসভায় বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাব পেশ হয়েছে। তখন বাংলায় বিজেপি বিধায়কের সংখ্যা ছিল মাত্র তিন জন। এখন সেই বিজেপি-ই রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল।