এই স্বাস্থ্যবিমা কার্ড পাওয়ার জন্য একটি ফর্মপূরণ করতে হয়। সেই ফর্মে উপভোক্তার লিঙ্গ কী তা লিখতে হয়। সেই জায়গায় রূপান্তরকামীরা নিজেদের পরিচয় প্রকাশ্যে আনছেন। এ নিয়ে ঢোলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ও ট্রান্সজেন্ডার ডেভলপমেন্ট বোর্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট মানবী বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘রূপান্তরকামী হিসাবে যদি তিনি ভোটের সচিত্র পরিচয়পত্র ও আধার কার্ড পেয়ে থাকেন, তবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের পরিষেবা নিতে সমস্যা কোথায়।’’ সম্প্রতি স্বাস্থ্য দফতরে একটি বৈঠক হয়েছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে। সেখানে দেখা গিয়েছে বর্তমানে প্রায় ৪৩ হাজার রূপান্তরকারী স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় রয়েছেন।
advertisement
আরও পড়ুন- ওপার বাংলার স্বাদ এপার বাংলায়! ঢাকাই কষা মাংসের রেসিপি ভাগ করে নিল শহরের পাঁচতারা হোটেল
এরই সঙ্গে আরও নতুন একটি ভাবনা নিয়ে এসেছে স্বাস্থ্য দফতর। তা হল, রূপান্তরকামীদের পাশাপাশি বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকদেরও স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ ক্ষেত্রে পুরকমিশনার বা জেলাশাসকরা নোডাল অফিসার হিসাবে কাজ করবেন। বৃদ্ধাশ্রমের পাঁচজন বা তার বেশি আবাসিকরা একসঙ্গে আবেদন করলে তাদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আওতায় আনা হচ্ছে। তবে জেনে নেওয়া হয়, উপভোক্তার ছেলে-মেয়ে বা আত্মীয়স্বজন আছে কি না। যার ফলে অনেকটাই সুবিধা হবে জানাচ্ছে বৃদ্ধাশ্রমের মালিকেরা। অন্যদিকে স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী রাজ্যে ২ কোটি ৮৫ লক্ষ পরিবার স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় এসেছে। মাসে গড়ে ২০০-২২০ কোটি টাকা সরকারের কোষাগার থেকে খরচ হয় বিমার দাবি বাবদ টাকা মেটাতে।
স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে প্রায়শই নানা অভিযোগের কথা শোনা যায়। বিশেষ করে বেসরকারি হাসপাতাল তথা স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলির দিকেই অভিযোগের আঙুল ওঠে। তাই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা পরিষেবা পেতে সাধারণ মানুষকে বেসরকারি হাসপাতালে ভোগান্তি পোহানোর ঘটনা প্রায়শই সংবাদের শিরোনামে উঠে আসে। এ বার সেই সমস্ত বিষয়ে সমস্যার সমাধান করতে ‘প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ইউনিট’ (পিএমইউ) গড়ার কথা ঘোষণা করল রাজ্য সরকার।
সোমবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে এই পিএমইউ গড়ার কথা ঘোষণা করেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক। তিনি বলেন, ‘‘স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে কিছু কিছু অভিযোগ আমরা শুনি। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ইউনিট গঠন করা হয়েছে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে যদি কেউ কোনও অভিযোগ করেন, তা হলে এই প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের মাধ্যমে সঙ্গে সঙ্গে যাতে সমস্যা প্রতিকার করা যায় বা সুরাহা হয়। সেই জন্য এই ইউনিট আগামী দিনে কাজ করবে।’’