তার আগে গোয়া পুলিশ দু’জনের পাসপোর্ট স্থগিত করে এবং ইন্টারপোলের কাছে ‘ব্লু কর্নার নোটিস’-এর আবেদন জানায়। থাইল্যান্ডে ধরা পড়ায় এখন দু’জনকে দ্রুত দেশে আনার পথ অনেকটাই সুগম হয়েছে, এমনটাই মনে করা হচ্ছে তদন্তকারী মহলের।
আরও পড়ুনঃ হার্ট অ্যাটাকের ‘গোল্ডেন আওয়ারে’ জীবন বাঁচাতে পারে তিন গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ! চিকিৎসকের বিশেষ পরামর্শ
advertisement
বিদেশ মন্ত্রক (MEA) নির্দেশে পাসপোর্ট আইন ১৯৬৭-র ধারা ১০এ অনুযায়ী পাসপোর্ট সাসপেন্ড হলে তা দিয়ে আর যাতায়াত করা যায় না। লুথরা ভাইরা যদিও ইতিমধ্যেই দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করেই থাইল্যান্ডে পৌঁছেছেন, এই স্থগিতাদেশের ফলে তারা আর অন্য কোথাও ভ্রমণ করতে পারবেন না। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের ব্লু কর্নার নোটিস জারি রয়েছে—যা কোনও ব্যক্তির পরিচয়, অবস্থান বা কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অতিরিক্ত তথ্য সংগ্রহের জন্য ব্যবহৃত হয়।
তদন্তে উঠে এসেছে, ক্লাবে নৃত্য পরিবেশন ও ইলেকট্রনিক আতশবাজি চলাকালীন আগুন লাগে। দমকল ও উদ্ধারকাজ চলার মধ্যেই ৭ ডিসেম্বর রাত ১টা ১৭ মিনিটে লুথরা ভাইরা অনলাইনে থাইল্যান্ডের টিকিট বুক করেন।
এদিকে, বুধবার রোহিনি আদালত তাদের তাৎক্ষণিক অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন খারিজ করেছে। চিকিৎসাজনিত কারণে চার সপ্তাহের আগাম জামিন চেয়ে তারা দাবি করেন যে তারাও “ঘটনার শিকার”।
গোয়া পুলিশ ইতিমধ্যেই ক্লাবের চারজনের মধ্যে এক মালিক অজয় গুপ্তাকে গ্রেফতার করেছে। তবে, তিনি দাবি করেছেন, তিনি শুধু ‘স্লিপিং পার্টনার’, দৈনন্দিন কার্যক্রম সম্পর্কে তাঁর কোনও ধারণা ছিল না।
গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ন্ত স্পষ্ট জানিয়েছেন, লুথরা ভাইদের রেহাই দেওয়া হবে না। রোমিও লেন ভগতোরের মূল আউটলেট ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়ে তিনি জানান—রাজ্যে অবৈধ বা জননিরাপত্তা বিপন্নকারী কোনও প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সরকার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নেবে।
