ঘরে ডাঁই করা পুরানো খবরের কাগজগুলো এখন পাঠিয়ে দিতে পারেন অর্পিতা রায়ের কাছে। বদলে পেতে পারেন ঘর সাজানোর থেকে নিত্য ব্যবহারের নানা আইটেম। সবই তৈরি ফেলে দেওয়া খবরের কাগজ দিয়ে। আলপিন থেকে এলিফ্যান্ট তো দূর, তৈরী করা চলে আইফেল টাওয়ারও। দাবি অর্পিতার। একদা ইতিহাসের ছাত্রী। আইটি সেকটরের প্রাক্তন কর্মী, দেশে-বিদেশে দীর্ঘদিন ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের বিভিন্ন কাজের অভিজ্ঞতায় অর্পিতা দেখেছেন, ভারতের মত দেশে মহিলা স্বনির্ভরতাই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। তাই তার এই কাজের সহকর্মী হিসেবে বেছে নিয়েছেন, অবহেলিত মেয়েদেরই। নিজেই কাজ শেখান। তৈরি করেছেন একদল উৎসাহী বাহিনী। যারা নিজেরা শেখেন, অন্যদেরও শেখান।
advertisement
সঙ্গে পেট্রন হিসেবে পেয়েছেন, এক প্রাক্তন শিক্ষিকাকে। যদিও প্রবীণার দাবি, উইমেন এমপাওয়ারমেন্টের কাজ যা তিনি শুরু করেছিলেন। সে কাজ বয়ে নিয়ে যাবেন অর্পিতা। সে কাজের স্বীকৃতি মিলেছে MSME-র শারদ ফোর-ইউ প্রতিযোগিতার চারটে বিভাগে অংশগ্রহণ করে জিতেছেন তিনটে পুরষ্কার। আগামী ৩১ তারিখ পুরষ্কার তুলে দেওয়া হবে বিজয়ী ৪০জনকে। MSME মেলায় যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হবে বিদেশের বাজারের সঙ্গেও।