শনিবার রাতে সেই টাকা উদ্ধার করার পরে এখন শাহি আস্তাবলের নেসার খানের বাড়ি যেন গার্ডেনরিচের আকর্ষণীয় স্থান। রবিবার সকাল থেকেই পথ চলতি লোকদের কাজের ফাঁকে নজর ছিল খান বাড়ির দিকে।
স্থানীয় বাসিন্দারা অনেকেই কোটি টাকা পাহাড়ের সন্ধান পেয়ে বলছেন, এত টাকা ছিল! দিতে তো পারতো। আবার কেউ কেউ রসিকতার ছলে ব্যাগ এনে বলছেন পেলেই নিয়ে নেবো!
advertisement
আরও পড়ুন- Exclusive: 'প্রমাণ আছে..., তৃণমূলীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দিলীপ ঘোষ'! 'সাচ্চা' বিজেপির বৈঠকে তোলপাড়
রবিবার সকাল থেকেই খান পরিবারের কোনও সদস্যকে বাড়ির বাইরে তো দূর বাড়ি থেকে বাইরে নজর রাখতেও দেখা যায়নি। রাতের অন্ধকার কাটতে স্থানীয় বাসিন্দা থেকে পথ চলতি মানুষের নজর ছিল শাহি আস্তাবলের এই জৌলুসহীন বাড়ির দিকেই।
নাসের খানের তিন ছেলের দেখাও নেই ওই বাড়িতে। নাসের খানের বড় ছেলে কর্মসূত্রে এই রাজ্যের বাইরে থাকেন। পেশায় চ্যার্টাট অ্যাকাউন্ট। মেজো ছেলে ইঞ্জিনিয়ার। তিনিও থাকেন এই রাজ্যের বাইরে।
নাসের খানের ছোট ছেলে আমির খানের সন্ধান নেই রবিবার বিকেল পর্যন্ত। আমির খান অন লাইন গেম অ্যাপলিক্লেশন প্রতারণায় অভিযুক্ত হলেও তার কোনও হদিস নেই ইডি-র কাছেও।
নাসির খানের পরিবহন ব্যবসা। তবে তিনি অফিসে যাননি রবিবার। শাহি আস্তাবল থেকে ঢিল ছোঁড়া দুরত্বে সঙ্গম ট্রান্সপোর্টেও তালা বন্ধ রবিবার। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, রবিবার নয় বেশ কিছু দিন আগে থেকেই আসছেন না নাসের খান।
তাঁর ট্যাঙ্কার বিভিন্ন সময় ভাড়া গেলেও বর্তমানে তা পুরোপুরি বন্ধ। ইডি-র তদন্তকারী অফিসারদের অনুমান, নেসার খানের পরিবহন ব্যবসায় কোনও ভাবে টাকা খাটত আমির খানের। কালো টাকা কি এইভাবে সাদা করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল?
আরও পড়ুন- 'দ্বিতীয়' গাড়িতে 'কারা' ছিল? বাগুইআটি জোড়া খুনে সতেন্দ্রর জেরায় চাঞ্চল্যকর তথ্য!
টাকা উদ্ধারের পর কেন নিরুদ্দেশ হলেন নাসের খান ও আমির খান? একাধিক উত্তরের সন্ধানে দুই ব্যক্তির খোঁজে ইডি। সূত্রের খবর, আমির খানের তিনটি ফোনে যোগাযোগ করা হলেও বন্ধ ফোন। মোবাইল নম্বরের টাওয়ারের লোকেশন নজর রাখছেন তদন্তকারী অফিসাররা।